Susanta Ghosh : বেনাচাপড়া কঙ্কালকাণ্ডে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট, ‘আইন আইনের পথে চলবে’, বললেন সুশান্ত – benachapara skeleton case charge sheet against susanta ghosh and others 45 members


Benachapra Case : বেনাচাপড়া কঙ্কালকাণ্ডে (Benachapra Massacre) প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান সিপিএমের (CPIM) পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ (Susanta Ghosh) সহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন হল। আগামী ১০ মার্চ থেকে শুরু হবে সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া। যাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠিত হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা রয়েছে। বুধবার এমপি, এমএলএ কোর্ট বিধাননগরে চার্জশিট পেশ করা হয়। স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (সিআইডি) দেবাশীষ মাইতি বলেন, “এদিন এমপি, এমএলএ কোর্টে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন হয়েছে। এবার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে।” বিষয়টি নিয়ে সুশান্ত ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ” আইন আইনের পথে চলবে, এখন কিছু বলার নেই ।” উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর ব্লকের আনন্দপুর থানার বেনাচাপড়ায় ৯ তৃণমূল কর্মী নিখোঁজের ঘটনা ঘটে। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর স্থানীয় তৃণমূল কর্মী শ্যামল আচার্য তাঁর বাবা অজয় আচার্য-সহ ৯ জনের নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করেন। প্রথমে রাজ্য পুলিশ ও পরে সিআইডি তদন্ত শুরু করে।

Netai Massacre Case : জামিনে মুক্ত নেতাইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত অনুজ পাণ্ডে, এড়ালেন দলীয় কর্মী -সমর্থকদের বরণ
সেই তদন্তে নেমে ২০১১ সালের ৫ জুন বেনাচাপড়ায় কঙ্কাল উদ্ধার হয়। সেই ঘটনাতেই নাম জড়ায় সুশান্তর। মাস দু’য়েক পর ১১ অগাস্ট তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরের বছর ৩ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় না ঢোকার শর্তে তাঁর জামিন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট। ২০২০ সালে সুপ্রিম কোর্ট সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরেই নিজের এলাকায় ফিরে যান সুশান্ত ঘোষ। কঙ্কালকাণ্ডে সুশান্তকে সুপ্রিম কোর্ট জামিন দিয়েছিল ২০১২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু তখন শর্ত ছিল নিজের জেলায় ঢুকতে পারবেন না তিনি। এরপর ৯ বছর পর গত ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর গ্রামে যান বর্তমানে জেলা সিপিএমের সম্পাদক। সিআইডি ৫৮ জনের নামে চার্জশিট জমা দেয়, তার মধ্যে একজন নাবালক থাকায় জুভেনাইল বোর্ডে মামলা চলছে।

Paschim Medinipur DM : কয়েক মাসের মধ্যেই ফের বদল পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক, জেলাজুড়ে চর্চা
বরুণ দাস ওরফে সোনা পলাতক, আর এক জন চণ্ডী কুইলাকে মুক্তি দিয়েছে আদালত। বাকিরা মারা গিয়েছেন। অজয় আচার্যের ছেলে শ্যামল আচার্য্য বলেন, “বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদছিল। আত্মবিশ্বাস যে নারকীয় গণহত্যার ঘটনা ঘটেছিল তাতে যাঁরা যুক্ত ও মদত ছিল তাঁরা শাস্তি পাবেন, শহীদ পরিবারের সেটাই আস্থা রয়েছে।” গড়বেতা বিধানসভার ছয় বারের বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী সম্প্রতি ওই মামলা থেকে জামিন পেলেও দীর্ঘদিন নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে যাওয়ার অনুমতি ছিল না তাঁর। অবশেষে, সর্বোচ্চ আদালত তাঁকে নিজের এলাকায় যেতে অনুমতি দিয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *