এই দুর্ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়়েছে। দুর্ঘটনায় আহত যাত্রী শুভব্রত মহন্ত বলেন, ‘রায়গঞ্জ থেকে কালিয়াগঞ্জে যাচ্ছিলাম। সেই সময় আমি বাসের পিছনের সিটে বসে ছিলাম। কিসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে তা তখন বুঝে উঠতে পারিনি। পরে জানতে পারি আমাদের বাসের সঙ্গে লরিটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। সম্ভবত নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই বাস ও লরির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।’ দুর্ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী কার্তিক দাস এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘এই গোটা ঘটনার জন্য লরির চালকই দায়ী। আমি বাঙ্গালবাড়ি মোড়েই থাকি। দুটি গাড়ির ব্রিজের ওপর মুখোমুখি সংঘর্ষে হয়। বাসে অনেক যাত্রী ছিলেন।’ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হেমতাবাদ থানার পুলিশ। জানা গিয়ে ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের অনুমান লরিটি বেপরোয়া গতিতে আসছিল, তখনই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটিকে মুখোমুখি ধাক্কা মারে।
দুর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দুর্ঘটনায় আহতদের সেখানে চিকিৎসা চলছে। বেশ কয়েকজন যাত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেলে দেওয়া হয়েছে। কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় আহত বেশ কয়েকজন যাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে হাসাপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক অঙ্কিত দাস বলেন, ‘এখনও অবধি ১৮ জন আহত যাত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। আহতদের মধ্যে চারপাঁচজনের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। তাদেরকে রায়গঞ্জ হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে। অনেকেরই হাত পা ভেঙেছে, আহত হয়েছেন। তাদের এখানে ন্যূনতম প্রয়োজনীয় চিকিৎসার পর রায়গঞ্জ হাসপাতালে পাঠানোর বন্দেোবস্ত করা হচ্ছে। রায়গঞ্জের হাসপাতালেও পরিচিতদের গোটা ঘটনার বিষয়ে জানানো হয়েছে।’