অর্নবাংশু নিয়োগী: ওএমআর শিটে জালিয়াতের জেরে এসএসসি গ্রুপ ডি-র ১৯১১ কর্মীর চাকরি বাতিল করল কলকাতা হাইকোর্ট। ওইসব শূন্যপদ এবার পূরণ করা হবে ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের থেকে। তবে তাদেরও ওএমআর শিট খতিয়ে দেখা হবে। তার পরই তাদের নিয়োগের সুপারিশ দেওয়া হবে। এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে একইভাবে তত্কাললীন এসএসসি চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টচার্যের জন্য কড়া কথা শুনিয়েছেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন-এসএসসি গ্রুপ ডি-র ১৯১১ জনের চাকরি বাতিল, জারি হল বিজ্ঞপ্তিও
এদিন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, যে সময় ওইসব গ্রুপ ডি কর্মীদের নিয়োগ হয় সেই সময় পর্ষদের সভাপতি ছিলেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য। কার নির্দেশে ওই জালিয়াতি তিনি করেছিলেন তার নাম তাঁকে সামনে আনতে হবে। যদি তিনি তা না করেন তাহলে ধরে নিতে হবে দুর্নীতির চূড়ায় তিনিই বসে রয়েছেন। যদি তিনি ভয় পান তাহলে তাকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়া হবে। যতদিন পর্যন্ত না তিনি মামলা থেকে রেহাই পাচ্ছেন ততদিন তিনি তার ডক্টরেট ডিগ্রি ও শিক্ষাগত যোগ্যতা ব্যবহার করতে পারবেন না। একজন প্রাক্তন ভিসির কাছ থেকে এরকম জিনিস কখনওই কাম্য নয়।
গ্রুপ ডি কর্মীদের চাকরি বাতিল নিয়ে মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় যে নির্দেশ দিয়েছেন তা ঐতিহাসিক। যারা ওএমআর শিট জালিয়াতির পরও চাকরির সুপারিশ পেয়েছিলেন তাদের সবার সুপারিশ বাতিল। পর্ষদ তাদের নিয়োগপত্র বাতিল করবেন। সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এদের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে তাদের বেতনও ফেরত দিতে হবে। নিয়োগের সময়ে যিনি পর্ষদ সভাপতি ছিলেন তিনি তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা আর কোথাও ব্যবহার করতে পারবেন না।
হাইকোর্টের ওই রায় নিয়ে বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, যে জিনিন নিয়ে এতদিন আইনি লড়াই হচ্ছিল যে দুর্নীতিগ্রস্তদের সরিয়ে উপযুক্তদের চাকরি দাও, সেই প্রক্তিয়ার একটা বৃত্ত সম্পন্ন হতে চলেছে। ১৯১১ জনের পাশাপাশি আরও অনেকের চাকরি যাবে। যারা উপযুক্ত তাদের চকরি হবে। তবে সবচেয়ে বড় কথা যারা এই দুর্নীতি এতদিন লালন করলেন তাদের বিরুদ্ধে আরও কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দিকে এগোচ্ছে বিচারব্যবস্থা।