এরপর তাদের গতিবিধির উপর নজর রাখে বনদফতর। সেই পরীক্ষা সাফল্য হওয়ায় এই নিয়ে তিন দফায় মোট ৩১ টি হোয়াইট ব্যাক এবং ৫০ টি হিমালয়ান গ্রিফন শকুন উন্মুক্ত আকাশে মুক্ত করল বন দফতর। জানা গিয়েছে, বনদফতরের এই উদ্যোগে রাজাভাতখাওয়ার জঙ্গলে অন্যান্য শকুনদেরও আনাগোনা শুরু হয়েছে। এই মুহূর্তে রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রয়োজন কেন্দ্রে ৪০ টি হোয়াইট ব্যাক এবং ৫৫ টি লং বিল্ড ও স্লেন্ডার বিল্ড শকুন রয়েছে। আগামী দিনে ধাপে ধাপে সেই শকুনগুলোকেও পরিবেশে মুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে বনদফতর। মূলত পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও এই হোয়াইট ব্যাক শকুন দেখতে পাওয়া যায় প্রতিবেশী রাজ্য অসম, মেঘালয়। প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ ও ভুটানেও এই প্রজাতির শকুনের দেখা মেলে।
বন দফতর সূত্রে খবর, শকুনগুলো পরিবেশের সঙ্গে কীভাবে খাপ খাইয়ে নেয়, তা নজরে রাখা জন্যেই ওদেরকে রাজাভাতখাওয়া প্রজনন কেন্দ্র রাখা হয়েছিল । এর আগে ২০২১ সালে রাজাভাতখাওয়া প্রজনন কেন্দ্র থেকে, ১০টি হোয়াইট ব্যাক শকুন পরিবেশে ছাড়া হয়। প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজাভাতখাওয়া রেঞ্জে শকুন প্রজনন কেন্দ্র গড়ে ওঠে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শকুন উদ্ধার করে এনে এখানে তাদের বংশবৃদ্ধি করা হয়। যদিও গত দু’দশকে ভারত শকুনের ৯০ শতাংশেরও বেশি কমে গিয়েছে। তার অন্যতম বড় কারণ গবাদি পশুর ব্যথা নিরাময়কারী ডাইক্লোফেনাক ওষুধের ব্যবহার। এই ওষুধ ব্যবহারের পর পশুটির মৃত্যু হল শকুন সেই মৃতদেহ খাওয়ার পরে ওষুধের প্রভাবে মারা যায়।