Alipurduar News : বিলুপ্ততার শঙ্কায় ‘শকুনি দৃষ্টি’! এক ঝাঁক বিরল প্রজাতির শকুন ফিরল আকাশে – bombay natural history society freed 20 vultures


Rajabhatkhawa : রাজাভাতখাওয়া প্রজনন কেন্দ্র থেকে হারিয়ে যেতে বসা ১৩ টি হোয়াইট ব্যাক শকুন (White Backed Vulture) পরিবেশে মুক্ত করল বন দফতর। শুক্রবার ফের রাজাভাতখাওয়া প্রজনন কেন্দ্র থেকে মোট ২০ টি শকুন আকাশে মুক্ত করল বক্সা বন দফতর। জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে ১৩ টি রাজাভাত খাওয়া প্রজনন কেন্দ্রে প্রজনন হওয়া হোয়াইট ব্যাক প্রজাতির ও বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার হওয়া ৭ টি হিমালয়ান গ্রিফেন প্রজাতির। ভারসাম্য বজায় রাখতে পরিবেশ থেকে হারিয়ে যাওয়া শকুন প্রজননের উদ্যোগ গ্রহণ করে বোম্বে ন্যাচারাল হিস্ট্রি সোসাইটি। এরপরেই বক্সা বনদফতরের রাজাভাতখাওয়ার জঙ্গলে শকুন প্রজননের প্রকল্প চালু করা হয়। রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন কেন্দ্র থেকে ২০২১ সালে প্রথম পরীক্ষামূলক উন্মুক্ত আকাশে কলার আইডি (PTT) লাগিয়ে শকুন মুক্ত করা হয়।

Buxa Forest : বক্সার জঙ্গলে সক্রিয় পাখি পাচার চক্র, অবশেষে গ্রেফতার মূল পাণ্ডা
এরপর তাদের গতিবিধির উপর নজর রাখে বনদফতর। সেই পরীক্ষা সাফল্য হওয়ায় এই নিয়ে তিন দফায় মোট ৩১ টি হোয়াইট ব্যাক এবং ৫০ টি হিমালয়ান গ্রিফন শকুন উন্মুক্ত আকাশে মুক্ত করল বন দফতর। জানা গিয়েছে, বনদফতরের এই উদ্যোগে রাজাভাতখাওয়ার জঙ্গলে অন্যান্য শকুনদেরও আনাগোনা শুরু হয়েছে। এই মুহূর্তে রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রয়োজন কেন্দ্রে ৪০ টি হোয়াইট ব্যাক এবং ৫৫ টি লং বিল্ড ও স্লেন্ডার বিল্ড শকুন রয়েছে। আগামী দিনে ধাপে ধাপে সেই শকুনগুলোকেও পরিবেশে মুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে বনদফতর। মূলত পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও এই হোয়াইট ব্যাক শকুন দেখতে পাওয়া যায় প্রতিবেশী রাজ্য অসম, মেঘালয়। প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ ও ভুটানেও এই প্রজাতির শকুনের দেখা মেলে।

Alipurduar News : টমেটোর আড়ালে গাড়িতে যাচ্ছিল বেআইনি সামগ্রী! ট্রাকের ডালা খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের
বন দফতর সূত্রে খবর, শকুনগুলো পরিবেশের সঙ্গে কীভাবে খাপ খাইয়ে নেয়, তা নজরে রাখা জন্যেই ওদেরকে রাজাভাতখাওয়া প্রজনন কেন্দ্র রাখা হয়েছিল । এর আগে ২০২১ সালে রাজাভাতখাওয়া প্রজনন কেন্দ্র থেকে, ১০টি হোয়াইট ব্যাক শকুন পরিবেশে ছাড়া হয়। প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজাভাতখাওয়া রেঞ্জে শকুন প্রজনন কেন্দ্র গড়ে ওঠে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শকুন উদ্ধার করে এনে এখানে তাদের বংশবৃদ্ধি করা হয়। যদিও গত দু’দশকে ভারত শকুনের ৯০ শতাংশেরও বেশি কমে গিয়েছে। তার অন্যতম বড় কারণ গবাদি পশুর ব্যথা নিরাময়কারী ডাইক্লোফেনাক ওষুধের ব্যবহার। এই ওষুধ ব্যবহারের পর পশুটির মৃত্যু হল শকুন সেই মৃতদেহ খাওয়ার পরে ওষুধের প্রভাবে মারা যায়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *