Botanical Garden : বোটানিক্যাল গার্ডেনে আড্ডার সময় নিরাপত্তারক্ষীর তাড়া, গঙ্গায় ঝাঁপ ৩ বন্ধুর! নিখোঁজ তরুণ – one howrah youth missing after jumping in ganges from shibpur botanical garden


West Bengal News: হাওড়ার এক ভয়াবহ ঘটনা সামনে এসেছে। শিবপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেন (Shibpur Botanical ) এলাকার এক বাসিন্দা যুবকের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বি-গার্ডেন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকার প্রসেনজিৎ মাঝি, সোনু মাঝি ও আকাশ মাহাতো নামে তিনজন শিবপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেনে আড্ডা মারছিল। তাদের সন্দেহজনক গতিবিধি দেহে গার্ডেনের নিরাপত্তারক্ষীরা কথা বলার জন্য তাদের দিকে এগিয়ে গেলে তাঁরা রেলিং টপকে গঙ্গায় ঝাঁপ দেয়। সোনু ও আকাশ গঙ্গা থেকে উঠে এলেও প্রসেনজিতের কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। যদিও নিখোঁজ যুবকের পরিবারের দাবি নিরাপত্তারক্ষীদের তাড়া খেয়েই গঙ্গায় ঝাঁপ দিতে বাধ্য হয়েছিল তাঁরা। নিখোঁজ যুবকের পরিবারের দাবি, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারতে গিয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের তাড়া খেয়ে গঙ্গা ঝাঁপ দিতে বাধ্য হয়েছিল প্রসেনজিৎ।

Bankura News: বকেয়া ৭০ টাকা চাইতে গরম তেলের কড়াইয়ে ধাক্কা! বাঁকুড়ার মিষ্টির দোকানে তুলকালাম
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, টিকিট না কেটেই বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশ করেছিল ওই তিন যুবক। সেই কারণেই নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের ধরতে এগিয়ে গিয়েছিলেন। তখনই এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শিবপুর থানার পুলিশ। অন্ধকার হয়ে যাওয়ার কারণে উদ্ধার কাজে সমস্যা হচ্ছিল। রাত হয়ে যাওয়ার কারণে ডুবুরি নামানোর ঝুঁকি নেয় রিভার ট্রাফিক ও পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে প্রসেনজিতের দুই বন্ধু সোনু ও আকাশকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রসেনজিতের পরিবারের তরফে এখনও অবধি থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। যদিও বোটানিক্যাল গার্ডেন কর্তৃপক্ষ টিকিট না থাকার বিষয়টির উপরই বাড়িত জোর দিয়েছে। বোটানিক্যাল গার্ডেনের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর দেবেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, বৈধ টিকিট ছাড়াই ওই তিন যুবক সেখানে ঢুকেছিল। তবে গার্ডেনের মধ্যে কোনও ঘটনা ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন তিনি।

West Bengal Latest News : প্রেমিকের সঙ্গে ‘অন্তরঙ্গ অবস্থায়’ পাকড়াও, বিবস্ত্র করে বধূকে মার
নিখোঁজ যুবকের মা স্বীকার করে নিয়েছেন তাঁর ছেলে নেশা করত। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পড়াশুনো ছেড়ে দিয়ে কার্জ কর্মের সন্ধান করছিল সে। আমার ছেলে একটু নেশা করত। বন্ধুদের সঙ্গে সে গার্ডেন গিয়েছিল। দারোয়ানরা তাঁদের ধরে নিয়ে যেতে পারে এই আশঙ্কা থেকেই সে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়েছে। আমি এর থেকে বেশি আর কিছুই জানি না। ওরা মোট তিনজন ছিল। সবাই ঝাঁপ দিয়েছিল কিনা জানি না। গঙ্গার ধারে ওপর জুতো পাওয়া গিয়েছে। দারোয়ানরা কেন আমার ছেলেকে তাড়া করল আমি জানি না। আমার কাউকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। আমি তো আমার ছেলেকে আর ফিরে পাব না। তাড়া না করলে আমার ছেলে তো আর গঙ্গায় ঝাঁপ দিত না। ধরে নিয়ে গেলে আমি আমার ছেলেকে ছাড়িয়ে আনতাম।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *