Nabanna : গ্রামাঞ্চলে শৌচালয় তৈরির কাজে পিছিয়ে ৬ জেলা, চিন্তিত নবান্ন – nabanna worried about 6 districts behind in construction of toilets in rural areas


এই সময়: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় অনুমোদন পাওয়ার পরও উপভোক্তা তালিকা তৈরি হয়নি। আর্থিক বর্ষ শেষ হতে চললেও কেন্দ্রীয় বরাদ্দ মেলেনি। হাতে আসেনি একশো দিনের গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পের টাকাও। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। গত এক বছর ধরেই কেন্দ্রীয় বরাদ্দের অভাবে পঞ্চায়েতের কাজ প্রায় বন্ধ। তবে ‘স্বচ্ছ ভারত’ গড়ার লক্ষ্যে প্রতিটি বাড়িতে শৌচালয় তৈরি করার কাজ কেন্দ্রীয় বরাদ্দ পেয়েও আশানুরূপ ভাবে এগোচ্ছে না। এই প্রকল্প রূপায়ণে ছয় জেলার শ্লথ গতিতে উদ্বিগ্ন নবান্ন। দেখা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার ও পুরুলিয়ার মতো পশ্চাদপদ জেলায় একশো শতাংশ শৌচালয় তৈরি হয়ে গেলেও, মুর্শিদাবাদে হয়েছে মাত্র পনেরো শতাংশ। শুধু শৌচালয়ই নয়, জঞ্জালমুক্তি-সহ গ্রামকে পরিচ্ছন্ন রাখার ক্ষেত্রেও মুর্শিদাবাদ সারা রাজ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া জেলা।

Nabanna : উপভোক্তাদের আধার যোগে জোর নবান্নের
কেন্দ্রীয় সরকার জলবাহিত রোগ প্রতিরোধে শৌচালয় তৈরির ওপর গুরুত্ব দেয়। উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র কেউ যাতে ত্যাগ না-করে, সে জন্য প্রতিটি বাড়িতে সরকারি খরচায় শৌচালয় তৈরির জন্য গ্রামাঞ্চলে দশ হাজার টাকা এবং শহরাঞ্চলে বারো হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। শৌচালয়ের নকশাও কেন্দ্রীয় সরকার তৈরি করে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় পোর্টালে উপভোক্তাদের নাম নথিভুক্ত করতে হয়। পঞ্চায়েত দপ্তরের রিপোর্ট বলছে, বাংলার গ্রামাঞ্চলের জন্য ৪ লক্ষ ৮৭ হাজার ৪৬৫টি শৌচালয় তৈরির লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মাত্র ২ লক্ষ ৮৪ হাজার ৬৬৫টি শৌচালয় তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী পঞ্চায়েত ও গ্রামীণ উন্নয়ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠকে তথ্যপরিসংখ্যান দেখে উষ্মা প্রকাশ করে জানতে চান, আর কত সময় লাগবে কাজ শেষ করতে? তাঁর নির্দেশ- চলতি আর্থিক বছরেই সব কাজ গুটিয়ে ফেলতে হবে।

Banglar Bari Prokolpo : ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে ৪৩৮ জন উপভোক্তার হাতে টাকা তুলে দিল কোচবিহার পুরসভা
সরকারি তথ্য বলছে, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান ও বীরভূম জেলায় ৯৫ থেকে ৯৯ শতাংশ কাজ হলেও কলকাতার একেবারে লাগোয়া উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশের বেশি কাজ এগোয়নি। পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুর, ঝাড়গ্রাম এবং শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ এলাকায় ৩৬ শতাংশ থেকে ৫৩ শতাংশের বেশি কাজ হয়নি। পঞ্চায়েত দপ্তর মানছে, শুধু শৌচালয়ই নয়, গ্রামকে পরিচ্ছন্ন রাখতে জঞ্জাল সাফাই থেকে তরল বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার কাজের গতিও অনেকটাই শ্লথ। গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জঞ্জাল সাফাইয়ের প্রকল্প রূপায়িত হয়েছে মাত্র ৫৩ শতাংশ। তরল বর্জ্য নিষ্কাশনের কাজ হয়েছে ৮.৫৮ শতাংশ। কলকাতার লাগোয়া দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মাত্র ৩০ শতাংশ কাজ হয়েছে। বীরভূমে ৩৮ শতাংশ ও ঝাড়গ্রামে ৪৪ শতাংশ কাজ হয়েছে। এ নিয়ে অবশ্য রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার কোনও মন্তব্য করতে চাননি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *