ঘটনাচক্রে যারা স্থানীয় ঠিকাদার লক্ষীকান্ত ব্যানার্জীর মা ও স্ত্রী। আর এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বিরোধীরা শাসক দলের ‘দুর্নীতি’র অভিযোগে সরব হয়েছেন। CPIM বাঁকুড়া (Bankura) জেলা কমিটির সদস্য অসীম দাস বলেন, “এই বিষয়ে আমরা দু’বার BDO-কে ডেপুটেশন ও একবার রেজিস্ট্রি চিঠি পাঠাই। পরে তিনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হন। এই কাজে প্রধান, উপ প্রধান ও তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতৃত্ব জড়িত। পঞ্চায়েত কর্মীরা কোনওভাবেই এই দুর্নীতিতে যুক্ত নন”। এই ঘটনায় প্রধান-উপপ্রধানদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি। BJP-র বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিল্লেশ্বর সিনহার দাবি, “আমাদের আন্দোলনের জেরেই প্রশাসন ওই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে”। তৃণমূলের (Trinamool Congress) অন্য নাম ‘দুর্নীতি’ দাবি করে তিনি আরও বলেন, “জেলার প্রায় সব পঞ্চায়েতে একই ঘটনা ঘটেছে”। ইন্দাসের BDO-র মতো সব BDO-দের ‘সাহসী’ হতে পরামর্শ দেন তিনি।
আকুই-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লক্ষী সাঁতরার দাবি, তিনি এই বিষয়ে কিছুই জানেন না। তদন্ত চলছে। BDO-র শোকজের জবাবও তাঁরা পাঠিয়েছেন বলে জানান তিনি। এদিকে ইন্দাস ব্লক তৃণমূল সভাপতি শেখ হামিদ এই ঘটনা শুনে অবাক দাবি করে বলেন, “কিছু কর্মী ও আধিকারিক চক্রান্ত করে সরকারকে ফাঁসাতে চাইছে। এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দরকার”। তৃণমূলের কেউ যুক্ত থাকলে দল ব্যবস্থা নেবে বলে তিনি জানান। অন্যদিকে, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার লক্ষীকান্ত ব্যানার্জীর দাবি তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। ঠিকাদারি করার সূত্রে অনেক ‘কাগজ পঞ্চায়েতে পড়ে থাকে’, আর তাঁকে না জানিয়েই তাঁর মা ও স্ত্রী-র অ্যাকাউন্টে পঞ্চায়েত টাকা ঢুকিয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। যদিও পুরো ঘটনার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সরকারী আধিকারিকরা।