ধৃতদের থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ বেশকিছু ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের অনুমান, এলাকায় বড়সড় ডাকাতির ছক কষেছিল ওই ডাকাতদল। অন্যদিকে ধৃত দুষ্কৃতীদের নিজেদের হেফাজতে চেয়ে শুক্রবার ডায়মন্ড হারবার এসি জে এম আদালতে (Diamond Harbour ACJM Court) পেশ করে রায়দিঘি থানার পুলিশ। ধৃত ডাকাতদের জেরা করে তাঁদের বাকি সঙ্গীদের সন্ধানে তল্লাশি ও তদন্ত চালানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এই ডাকাতির দলের শিকড় কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত, তাও খুঁজে বের করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, রায়দিঘি (Raidighi) ও সংলগ্ন এলাকায় চুরি ও ডাকাতির সমস্যা রয়েছে বলে অনেকবারই অভিযোগ উঠেছে। এলাকার নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে বহুবার প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। গত বছর বেশ কয়েকটি এলাকায় চুরির ঘটনাও ঘটেছে। তারপরেই নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন। বাড়ানো হয় পুলিশি টহল, কাজে লাগানো হয় পুলিশের গোপন সূত্রগুলিকেও। তারপর থেকেই মেলে বেশ কিছু সাফল্য।
দুদিন আগেই বারুইপুর থেকে ডাকাতির আগেই গ্রেফতার করা হয় ৭ ডাকাতকে। উদ্ধার করা হয় ডাকাতির সরঞ্জাম, চপার, ভোজালি, ছুরি। তবে পুলিশের হাত থেকে পালাতে সক্ষম হয় আরও কয়েকজন দুষ্কৃতী। বারুইপুর থানার পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে বেশ কিছু দুষ্কৃতী বলরামপুর এলাকায় জড়ো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে অন্ধকারের সুযোগে সাত আট জন দুষ্কৃতী চম্পট দেয়। তবে পালাতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় সাত দুষ্কৃতী। ডাকাতির উদ্দেশ্যেই জড়ো হয়েছিল ওই দুষ্কৃতীরা। জেলার নিকটবর্তী কোথাও ডাকাতির প্ল্যান ছিল ওই দুষ্কৃতীদের। ডাকাতি রুখতে দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলায় পুলিশের সাফল্য এর আগেও দেখা গিয়েছে।
