West Bengal Group D Scam: নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে জেলায় ৪০ জনেরও বেশি গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বরখাস্ত। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কমিশনের তরফ থেকে শুক্রবার চাকরি বাতিল হওয়া কর্মীদের নামের তালিকা সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। যেখানে দেখা যাচ্ছে রাজ্যে ১৯১১ জনের চাকরি যাওয়াদের নাম রয়েছে৷ সূত্রের খবর, সেই তালিকায় শুধু বালুরঘাট জেলারই প্রায় ৪২ জন গ্রুপ ডি কর্মীর নাম রয়েছে। তালিকায় স্পষ্টভাবে সেই গ্রুপ ডি কর্মীদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও বা এই সময় ডিজিটালের পক্ষ থেকে সেই নামের তালিকার সত্যতা যাচাই করা হয়নি। তবে এনিয়ে স্কুল ও শিক্ষা দপ্তরের কাছে কোন নির্দেশিকা আসেনি বলেই জানানো হয়েছে। জেলা জুড়ে এমন নির্দেশিকা ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়েছে। এদিকে এই বিষয় সরব হয়েছে বিজেপি সহ বিরোধীরা। অন্যদিকে, তৃণমূলের দাবি অসৎ উপায়ে চাকরি নিয়েছে তাদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ আদালত দিয়েছে ৷ এখানে তৃণমূলের কোন বিষয় নেই৷
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ৪২ জন গ্রুপ ডি কর্মীর নাম প্রকাশ্যে এসেছে। তারা নিয়োগ অবৈধভাবে করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট ও কমিশনের তরফেও যা স্বীকৃত। সেই তালিকাগুলিই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার দৌলতপুর হাইস্কুল, বালুরঘাট গার্লস স্কুল, রাজুয়া সখি সুন্দরি হাইস্কুল, তপন হাইস্কুল, খিদিরপুর জুনিয়র হাইস্কুল, বিএম হাইস্কুল, বদলপুর হাইস্কুল, তপন বালিকা বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন স্কুলের নাম রয়েছে। গত ডিসেম্বর মাসে কমিশনের পাঠানো লিস্টে নাম থাকা গ্রুপ ডি কর্মীদের ডিআই অফিসের তরফে বিষয়টি জানানো হয়৷ তবে সেই সময় তাদের স্কুলে না আসা বা অন্য কোন নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি। যার ফলে গ্রুপ ডি কর্মীরা স্কুলে আসছিলেন। শুক্রবাপ ফের কমিশনের তরফে ১৯১১ জনের নাম প্রকাশ করা হয়। যাদের চাকরি বাতিল করা হয়েছে ৷ এদিন বালুরঘাট গার্লস হাইস্কুলের চাকরি যাওয়া গ্রুপ ডি কর্মী স্কুলে আসেননি। ব্যক্তিগত কারণেই তিনি স্কুলে আসনেনি বলেই প্রধান শিক্ষিকাকে জানিয়েছেন তিনি৷ Calcutta High Court: সুখবর! এবার একাধিক শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশ
এ বিষয়ে বালুরঘাট গার্লস স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মহুয়া চৌধুরি বলেন, আমার স্কুলের একজন গ্রুপ ডি কর্মীর নাম আগে প্রকাশ হয়েছিল। চাকরি বাতিল নিয়ে কোন নির্দেশিকা এখনও আসেনি। ডিআই অফিস থেকে যেমন নির্দেশিকা আসবে সেই ভাবেই তিনি কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন। এবিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, স্কুল শিক্ষিকার পর গ্রুপ ডি চাকরিতেও ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে৷ জেলার প্রায় ৪০-৪২ জনের নাম রয়েছে৷ যারা অবৈধ ভাবে চাকরি পেয়েছেন তাদের চাকরি গিয়েছে।
অন্যদিকে এবিষয়ে তৃণমূল জেলা কো-অর্ডিনেটর সুভাষ চাকি বলেন, ”অসৎ উপায়ে যারা চাকরি নিয়েছেন আদালতের নির্দেশে তাদের চাকরি গিয়েছে। এই বিষয়টি কোর্টের। তাই এনিয়ে দলগত ভাবে কোন মন্তব্য নেই। তবে বিজেপি যে অভিযোগ করছে তা ভিত্তিহীন।” যাদের চাকরি চলে গিয়েছে তারা যদি কোনরকম ভাবে দলের কাছে আসেন তাহলে আইনি সাহায্য করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। অন্যদিকে এবিষয়ে জেলা মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষা পরিদর্শক মৃন্ময় ঘোষ সাংবাদিকদের সামনে কোন মন্তব্য করেননি।