শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ”এবারের টেটের ওএমআর শিট (Primary TET OMR Sheet) পর্ষদের পাশাপাশি পরীক্ষার্থীর কাছেও রয়েছে। ওই ওএমআর শিট কেউ যদি দালালকে দেয়, তার দায় পর্ষদের নয়। তেমন হলে দালাল যতটা দায়ী, প্রার্থীও ততটাই। কোনও চাকরিপ্রার্থী দালালের ফাঁদে পা দেবেন না। কেবলমাত্র মেধা, শ্রম, যোগ্যতা ও পর্ষদের স্বচ্ছতার উপর নির্ভর করুন। ” তিনি আরও বলেন, ”যার মধ্যে আমি এখন কয়েকটা উল্লেখ করব। পরীক্ষার্থীদের যাবতীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং বায়োমেট্রিক যাচাইকরণ প্রাথমিক পর্ষদের এক উদ্ভাবনী ভাবনা। বলা যেতে পারে, স্বচ্ছতা অর্জনের ক্ষেত্রে রাজ্যের এক অন্যতম প্রচেষ্টা। পর্ষদ শুধুমাত্র ওএমশিটের অরিজিনাল নিজেদের কাছে কপি নিজেদের কাছে রেখেছিল। এটাও একটা রাজ্যে শিক্ষা পদ্ধতিতে নজিরবিহীন পদক্ষেপ।”
উল্লেখ্য, মাস দেড়েকের মধ্যেই ফলপ্রকাশ হল টেট-এর। এদিন ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হল, ৬ লাখ ২০ হাজার পরীক্ষার্থীর রেজাল্ট। টেট ২০২২০-এ প্রথম হয়েছেন বর্ধমানের ইনা সিংহ। দ্বিতীয় হয়েছেন চারজন। দ্বিতীয় স্থানে নাম রয়েছে মৌনিশা কুণ্ডু, মেঘনা চক্রবর্তী, দীপিকা রায়, অদিতি বসুরায়। এক থেকে দশের মধ্যে রয়েছেন ১৭৭ জন। বিকেল 3 টের পরই পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (West Bengal Board of Primary education) অফিসিয়াল ওয়েবসাইট wbbpe.org এবং wbbprimaryeducation.org থেকে দেখা যাচ্ছে টেট-এর রেজাল্ট।
বহু আইনি লড়াই পেরিয়ে কয়েক বছরের ব্যবধান শেষে গত ১১ ডিসেম্বর রাজ্য জুড়ে সম্পন্ন হয় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টেট পরীক্ষা (TET Exam)।