উল্লেখ্য, কিছু সরকারি স্কুল যেখানে ছাত্রের অভাব রয়েছে সেখানে মাত্রারিক্ত শিক্ষক রয়েছে এবং কয়েকটি স্কুল যেখানে পড়ুয়া সংখ্যা অনেক কিন্তু সেখানে শিক্ষক নেই পর্যাপ্ত-এই পরিস্থিতি যাতে কোনওভাবেই তৈরি না হয় সেজন্য শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে রাজ্যের নির্দিষ্ট গাইডলাইন অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। পাশাপাশি আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, যে সমস্ত স্কুলে পড়ুয়া কম সেখান থেকে শিক্ষকদের বদলি করে যে সমস্ত এলাকার সরকারি স্কুলগুলিতে ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা বেশি সেখানে স্থানান্তরিত করা উচিত। রাজ্যকে শিক্ষক বদলি নিয়ে একটি নির্দিষ্ট গাইডলাইন আনার কথা বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বদলি চেয়ে একাধিক আবেদন জমা পড়ছিল। এমনকী, অনেকে নিজের বাড়ির পাশে বা পছন্দমতো স্কুলে বদলি চেয়েও আবেদন করেছিলেন। আর সেই আবেদনের বহর দেখে রীতিমতো বিষ্ময় প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এক্ষেত্রে গ্রাম বা মফঃস্বলের স্কুলগুলিতে পঠনপাঠনে প্রভাব পড়তে পারে, সেই আশঙ্কাও করা হয়েছিল। এরপরেই বদলি সংক্রান্ত একটি নির্দিষ্ট গাইলাইন রাজ্যকে প্রকাশ করার পরামর্শ দিয়েছিল আদালত। কোন স্কুলে কত ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে, তার উপর ভিত্তি করে বদলি হোক, এমনটাই পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এবার এই গাইডলাইন রাজ্য আজই প্রকাশিত হতে পারে, জানা যাচ্ছে এমনটাই। এর ফলে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের রাজ্যের যে কোনও জায়গায় বদলি করা যেতে পারে।