প্রসেনজিৎ মালাকার: ‘দিল্লিতে যে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক শাসন চলছে, সেটাকে কি আমি ভারতবর্ষের প্রতি মঙ্গলময় বলে মনে করি? আমি মনে করি না’। জমি বিতর্কে বিস্ফোরক অমর্ত্য় সেন। বললেন, ‘লোকে আমার পাশে দাঁড়াবে, অপমানিত হবে, মারধর খাবে। এটা আমার অভ্যাস হয়ে গিয়েছে’।
ব্যবধান দিন তিনেকের। বিশ্বভারতীর চিঠি পাওয়ার পর, এবার জমি মিউটেশন করার আবেদন জানালেন অমর্ত্য সেন। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি বোলপুর বিএলআরও অফিসে মিউটেশনের জন্য হেয়ারিং হবে। সূত্রের খবর তেমনই।
এদিন জি ২৪ ঘণ্টাকে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘যে বিশ্বভারতীকে আমি চিনি, সেই বিশ্বভারতী আর নেই। যে জায়গায় বিশ্বভারতী ছিল, সেই জায়গায় ফিরতে পারে? আশা করব, পারবে। সত্যি আপনার আস্থা আছে সেরকম জায়গায় ফিরে আসবে? সেরকম আস্থা আমার নেই। তবে হলে নিশ্চিতভাবে ভালো হত’।
আরও পড়ুন: Amartya Sen: জমি মিউটেশনের জন্য আবেদন করলেন অমর্ত্য সেন, এমাসেই শুনানি
অমর্ত্য সেনের মতে, ‘যিনি উপাচার্য হিসেবে নিজের ছাত্রদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে খেদিয়ে দেন। তিনি কী কারণে কী করেন, সেটা সাধারণ লোকের বোঝা ততটা সহজ নয়’। তাঁর আরও বক্তব্য, ‘তাঁর স্বভাব বদলানো, ছেলে বয়স থেকে তিনি যা শিখেছেন, সেটা বদলে অন্যভাবে ব্যবহার করা। সেটা আমি করতে পারব বলে মনে করার মতো সাহস আমার নেই। ফলে বিশ্বভারতীর উপাচার্য যে আচরণ করছেন, তাতে আমার কাছে চমকে যাওয়ার মতো কিছু নেই। তিনি নিজে চমকে যান কিনা, আমি জানতে পারি না’।
কী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে? বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘উনি কী মনে করলেন, ভারতবর্ষের কিছু যায় আসে না। উনি থাকেন বিদেশে। দেশ থেকে সব সুবিধা নিয়েছেন, কিন্তু দেশের জন্য কিছু করেননি, কিছু দেননি। মোদীকে পছন্দ নাই হতে পারে। কিন্তু আজকে সারা বিশ্ব ভারতের জয়জয়কার করছে’।
‘শঙ্কিত’ রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেন, ‘কালকে আবার না বলে অমর্ত্য সেনের বৈঠকখানা, বাথরুমটা বিশ্বভারতীর, ওটা ছেড়ে দিতে হবে। অমর্ত্য সেন সত্যকথা বলার হিম্মত রাখেন, এটা দেখে শিক্ষা নেওয়া উচিত। মেরুদণ্ড বিক্রি করে দেন না’।
এর আগে, বৃহস্পতিবার ৯ ফেব্রুয়ারি জমি ফেরতে চেয়ে ফের অমর্ত্য সেনকে চিঠি দেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, যৌথভাবে জমি জরিপের জন্য এবার দু’দিন সময় দেওয়ারও অনুরোধ করা হয় তাঁকে।