West Bengal Local News: রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি ও বেনিয়মের অভিযোগে সরগরম রাজনীতি। আদালতের নির্দেশে অনেকে চাকরি গিয়েছে। অন্যদিকে শুক্রবার প্রাথমিক টেটের ফলাফল প্রকাশের পর অনেকে নতুন করে চাকরির জন্য নির্বাচিত হয়েছে। ফলপ্রকাশের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে টেটে স্বচ্ছতার পক্ষে জোরাল সওয়াল করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। শনিবার ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, ‘শুদ্ধিকরণের প্রক্রিয়া চলছে। আগামী দিনে আরও কয়েক হাজার লোক চাকরি পাবেন। এরা টাকা দিতে পারেনি বলে এতদিন চাকরি পায়নি। সরকারি অফিসে লোক কমে গিয়েছে, সেই কারণে কাজের চাপ বেড়ে গিয়েছে। যারা আছে, তাদের একটা বড় অংশ দুয়ারে সরকার, লক্ষীর ভাণ্ডারের মতো সরকারি প্রকল্পের কাজে আটকে গিয়েছেন। মানুষ সরকারি পরিষেবা পাচ্ছেনা। আদালত যা শুরু করেছে, এমন চললে আরও অনেকে টাকা পাবেন। রাজ্যে একটা বিচিত্র পরিবেশ তৈরি হয়েছে। খুবই অনভিপ্রেত ঘটনা। শিক্ষামন্ত্রী বলছেন, যারা টাকা দিয়েছেন এবং নিয়েছেন, তারা বুঝে নেবেন। তাহলে আপনি কী করছেন? দায়িত্ব তো আপনাদের। লোক গুলোর নাম লিস্টে ছিল না। তারা চাকরি পেয়ে গেল কীভাবে?’ Dilip Ghosh : ‘CPIM আমল থেকে শুরু, দুর্নীতি সর্বজনীন করছে তৃণমূল!’ বিস্ফোরক দিলীপ বালিগঞ্জ, গড়িয়াহাটের পর শুক্রবার বড়বাজার থেকেও লাখ লাখ টাকা উদ্ধার হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে শহর থেকে পর পর তিনদিন টাকা উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ছে। সেই প্রসঙ্গেও এদিন মুখ খোলেন দিলীপ। তিনি বলেন, “আরও অনেক টাকা পাওয়া যাবে। বহু জায়গায় বহু টাকা লুকোনো আছে। তদন্ত এগোচ্ছে। পাওয়া যাচ্ছে। এরপর শহরের রাস্তায় টাকা পড়ে থাকতে দেখা যাবে। শয়ে শয়ে কোটি লুঠ হয়েছে। যেখানে হাত দিচ্ছে, সেখানে টাকা।”
WB Primary TET Results: কোনও চাকরিপ্রার্থী দালালের ফাঁদে পা দেয়, দায় পর্ষদের নয়: ব্রাত্য বসু সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগের তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়েছিল। একাধিক বড় নেতা ঘাসফুল ছেড়ে হাতে পদ্মপাতাকা তুলে নিয়েছিলেন। কিন্তু, একে একে তাদের অধিকাংশই সেখানেই পুনরায় তৃণমূল ফিরে এসেছেন। পঞ্চায়েতের আগে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিজেপিতে নেওয়া হবে কিনা, সেই প্রসঙ্গ প্রশ্ন করা হলে দিলীপ বলেন, “আসা যাওয়া চলতেই থাকে। কাকে নিলে কী হবে, সেটা স্থানীয় স্তরে ঠিক হবে। তাঁদের ভাবমূর্তি দেখতে হবে। দু’রকম ব্যাপার হতে পারে। এক, যারা টিকিট পায়নি, তারা আসতে চাইবে। দুই, বদনাম হয়ে গেছে, তারা আসতে চাইবে। দল বিবেচনা করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।”