ভারী বাঁশ দিয়ে পেছন থেকে আঘাত করা হয়ে থাকে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন অনুপ মণ্ডল। তার ওপর ফের বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। অনুপ মণ্ডলের মাথায় জোরালো আঘাত লাগে বলে জানা গিয়েছে। যার ফলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। এরপর রাতে প্রাণভয়ে পাঁশকুড়া থানায় আত্মসমর্পণ করেন অভিযুক্ত। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন কেশাপাট বাজারের দোকান থেকে প্রতিদিন রাতে উনি বাড়ি ফেরেন। প্রতিদিনের মতো গতকাল রাতেও বারোটা নাগাদ বাড়ি ফিরছিলেন রাস্তা দিয়ে। বাড়ি ফেরার সময় রাস্তার উপর ফুলের প্যাকেট রাখা নিয়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে বচসা বাধে। রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে অসুবিধা হচ্ছে বলে অনুপ মণ্ডলকে ফুলের প্যাকেট সরিয়ে নিতে বলা হয়। রাস্তার উপর রাখা ফুলের প্যাকেট সরাতে বলার পরেই দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কেশাপাট এলাকার বাসিন্দা রঘুনাথ চক্রবর্তীর সঙ্গে বচসা বাধে অনুপ মণ্ডলের। তারপরেই রঘুনাথ চক্রবর্তীর ছেলে সুরজিৎ চক্রবর্তী রাতের অন্ধকারে আচমকা বাঁশ দিয়ে পেছনে থেকে আঘাত করে অনুপ মণ্ডলকে। আক্রমণের পর অনুপ মণ্ডলের মৃত্যু হলে রাতে গিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করে অভিযুক্ত। গোটা ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। অভিযুক্তের বয়ান অনুযায়ী ঘটনাস্থলে এসে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে। ঘটনার তদন্তে পুলিশ। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মৃত অনুপ মণ্ডলের পরিবার সহ গোটা এলাকায় তৈরি হয়েছে শোকের ছায়া।