তৃণমূল কর্মী সইদুল বলেন, ‘রাজনীতি করার কারণে আমাকে জেল খাটতে হয়েছে। এরা আমাকে জেলে ঢোকালো। আমি আজকে ভাঙা ঘরে বসবাস করি। আমি এখনও ঘর পেলাম না। আবাস যোজনার ঘর পাইনি। এদিকে এরা আমাকে নিয়ে রাজনীতি করে। সেই কারণে আমি কল্যাণদাকে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। সবার ঘর তৈরি হয়ে গিয়েছে, কিন্তু আমার হয়নি। কেন আমার ঘর তৈরি হবে না?’ অন্যদিকে এই প্রশ্ন করা হলে, তৃণমূল বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনমুখী প্রকল্প মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। মানুষের জন্য কাজ করাই আমাদের লক্ষ্য। সেই কারণে জোড়াফুলের প্রার্থীদের ভোটে জয়ী করতে হবে। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত যেমন আমাদের ছিল, তেমনই এবারা সব আসন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দেওয়াই আমার লক্ষ্য।”
আবাস যোজনা রাজ্যের অন্যতম জ্বলন্ত ইস্যু। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে গোটা রাজ্যে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। কোথাও অযোগ্যেদের নাম আবাস তালিকায় দেখা গিয়েছে, কোথাও আবার যোগ্যদের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। কোথাও কোথাও আবার আবাস তালিকা নাম তুলে দেওয়ার জন্য টাকা চাওয়ার অভিযোগও উঠেছে। সব ঘটনাতেই তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সদস্যদের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রাজ্যে এসে যাবতীয় অভাব অভিযোগ খতিয়ে দেখেছে। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে এটা অন্যতম বড় ইস্যু বলা বাহুল্য। এই ইস্যু ভোটে তৃণমূল বিপাকে পড়ে কিনা, সেটাই এখন দেখার।