Malda News : ভিনরাজ্যের হাসপাতালে যুবক, চিকিৎসার জন্য টাকা তুলছেন বন্ধুরা – malda youths collected money for friend treatment


এই সময়, মালদা: হাসপাতালের বিছানায় বেঁচে থাকার লড়াই করছেন যুবক। আর তাঁর এই লড়াই জারি রাখতে বন্ধুরা কৌটা হাতে রাস্তায় নেমে আরেক লড়াই শুরু করেছেন। এক অসুস্থ যুবককে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য গ্রামের কিছু ছেলেমেয়ের এই জোট বাঁধাটা দাগ কাটছে অনেকের মনেই। ফলে বাড়ছে সহযোগিতার হাত। মালদার মানিকচক ব্লকের সিংপাড়ার যুবক বিশাল প্রামাণিক। বাবা মারা গিয়েছেন। বৃদ্ধা ঠাকুমা, বিধবা মা ও মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী বোনকে নিয়ে সংসার। বাড়ি বলতে বাঁশের বেড়া, টালির চালের দু’টি ঘর। বিশাল নিজেও মানিকচক কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। সঙ্গে সংসার টানতে ক্ষুর, কাঁচি নিয়ে পারিবারিক কাজ করতে হয়। তাঁর দু’টি কিডনিই জবাব দিয়েছে। গরিবের ঘরে এই রোগ সারানোর সামর্থ নেই। তাই গোড়ায় চিকিৎসাও হয়নি। কিন্তু হঠাৎ করেই রক্ত দিতে হওয়ায় তাঁর জন্য রক্ত জোগাড় করতে গিয়েই বন্ধুমহল এবং প্রতিবেশীরা অসুখটা জেনে ফেলেন। তারপর এই বুন্ধুদলের উদ্যোগেই চিকিৎসা শুরু।

WBCS Results: ৬ কিমি হেঁটে স্কুল, BCS ক্র্যাক করে অনটনের সংসারে আলো জ্বালালেন পরিযায়ী শ্রমিকের ছেলে
বিশাল এখন বেঙ্গালুরুতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। ডায়ালিসিস চলছে তাঁর। অবস্থা একটু থিতু হলে কিডনি প্রতিস্থাপনের চেষ্টা করবে পরিবার। কিন্তু তাতে খরচ অন্তত ১০ লক্ষ টাকা। ছেলেকে বেঙ্গালুরুতে পাঠানোর সময় ধারদেনা করেও ১০ হাজার টাকা দিতে পারেননি মা প্রতিমা দেবী। তাই এত খরচ জুটবে কী করে, তা নিয়ে ভাবতেই পারছেন না। সবটাই ছেড়ে দিয়েছেন ছেলের বন্ধু ও প্রতিবেশীদের উপর। শিল্পী, বাপ্পা, কেশব, সৌরভ, বান্টি, শুভঙ্কররা তাই নাওয়া-খাওয়া ভুলে কৌটা হাতে রাস্তায় নেমেছেন। সাহায্য চেয়ে প্রচার চলছে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের দেওয়ালে। কেশব ঘোষ বিশালের পাড়াতুতো দাদা। তিনি এই অর্থ সংগ্রহের যুদ্ধে বিশালের বন্ধুদের দলে সামিল হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে বিশাল অসুস্থ হওয়ার পর শুনতে পাই, রক্ত দিতে হবে। ওর ‘ও নেগেটিভ’ গ্রুপ। সেটা জোগাড় করতে গিয়েই ওর আসল অসুখটা জানতে পারি।

Malda News : বছর ঘুরতেই বেহাল ২৫ লাখি রাস্তা! মেরামত না হলে ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি গ্রামবাসীদের
বাড়ির লোকেরা অসহায়ের মতো গোপন করে রেখেছিলেন। ওর ছোটবেলার সহপাঠী শিল্পী প্রথম টাকা তোলার উদ্যোগ নেয়। এর পর সবাই জোট বাঁধতে শুরু করি। বিশালের মাকে বুঝিয়ে বন্ধুরাই বেঙ্গালুরুতে নিয়ে গিয়েছে। । নেতা, মন্ত্রীরা এখনও সাড়া না দিলেও গ্রামবাসীরাই সামর্থ মতো আর্থিক সাহায্য নিয়ে এগিয়ে এসেছেন। লাখখানেক টাকা উঠেছে। এখনও অনেক টাকা দরকার। কিন্তু শিল্পী, কেশবরাও বিশালকে ফিরিয়ে আনার বাজি জিততে মরিয়া। ওর মা প্রতিমা দেবী বলছেন, ‘আমার নিজের কিডনিটা ছাড়া আর কিছুই দিতে পারছি না। ছেলের ভালো হয়ে বাড়ি ফেরাটা এখন পাড়ার ছেলেমেয়েগুলোর উপরে নির্ভর করে আছে। ওরাই লড়ছে, ওদের আশীর্বাদ করুন।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *