Primary TET Scam : ভুয়ো সাইটে পর্ষদের নামে রেজাল্ট-জালিয়াতি – hooghly youth trinamool leader kuntal ghosh has been accused of dealing in fraud on a fake website


এই সময়: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নামে তৈরি ওয়েবসাইট। সেখানে নামের তালিকায় চাকরিপ্রার্থীরা কখনও ‘পাশ’, আবার কখনও ‘ফেল’ সিবিআইয়ের দাবি, হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh) এমনই এক ভুয়ো ওয়েবসাইটের কারবার ফেঁদেছিলেন। এই ওয়েবসাইট জালিয়াতির নেপথ্যে দু’রকমের সম্ভাবনা থাকতে পারে বলে মনে করছে সিবিআই। সম্ভাবনা এক, মূল ওয়েবসাইট যাঁরা নিয়ন্ত্রণ বা পরিচালনা করতেন, তাঁদের কারও সঙ্গে যোগসাজশ করে কিছু দিনের জন্য অযোগ্য প্রার্থীদের নাম ওই তালিকায় তোলা হতো। যাতে তাঁরা চাকরি পেয়ে গিয়েছেন জেনে টাকা দিয়ে দেন। সম্ভাবনা দুই, পর্ষদের ওয়েবসাইটের মতো হুবহু একটি ভুয়ো ওয়েবসাইট বানিয়েছিলেন কুন্তল। যার মাধ্যমে বোকা বানানো হয়েছিল চাকরিপ্রার্থীদের। সিবিআইয়ের (CBI) অভিযোগ, কুন্তল যখন চাকরিপ্রার্থীদের সামনে বসিয়ে সেই ওয়েবসাইটে রোল নম্বর সার্চ করতেন, তখন দেখা যেত তাঁরা উত্তীর্ণ হয়েছেন। সেখান থেকেই প্রিন্ট বের করে অ্যাডভান্স নেওয়া হতো প্রার্থীদের কাছ থেকে। পরে সেই চাকরিপ্রার্থীরাই যখন নিজেরা আবার রোল নম্বর দিয়ে সার্চ করতেন, তখন আর নিজেদের নামের অস্তিত্ব খুঁজে পেতেন না। কোনও এক আজব ভোজবাজিতে উড়ে যেত যাবতীয় তথ্য!

Kuntal Ghosh : অর্পিতার ফ্ল্যাটে নোটের পাহাড়ে কি কুন্তল যোগ?
২০১৪-র টেটের পরে বিভিন্ন এজেন্টের মাধ্যমে কুন্তলের কাছে চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকা পাঠানো হতো। যে সব পরীক্ষার্থী চাকরি পাকা করতে কুন্তলকে টাকা দিতেন, তাঁদের নাম ওই ওয়েবসাইটে জ্বলজ্বল করত। তাতে রোল নম্বর এবং নাম-সহ লেখা থাকত ‘কোয়ালিফায়েড’। কয়েক দিন পরেই ঘটত ‘ম্যাজিক’। অভিযোগ, চাকরিপ্রার্থীরা দেখতে পেতেন, তাঁদের নাম তালিকা থেকে ভ্যানিশ। সিবিআইয়ের কাছে এমন অভিযোগও জমা পড়েছে, প্রভাবশালীদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকায় প্রতারিতরা কুন্তলকে কিছুই বলতে পারতেন না। তদন্তের প্রয়োজনে এই বিষয়টি নিয়ে কুন্তলকে জেরা করতে চান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এই কারচুপির সঙ্গে পর্ষদের কোনও উচ্চপদস্থ কর্তা জড়িত ছিলেন কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শুক্রবার অবশ্য পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বলেন, ‘২০১৭ সালের টেটের রেজাল্ট পরিবর্তন করা হয়েছে বলে আমার আমলে দু’বার অভিযোগ উঠেছিল। তবে খোঁজ নিয়ে দেখা গিয়েছে সেটা ছিল ফেক ওয়েবসাইট।’

West Bengal Recruitment Scam : মামলাতেও টাকার খেল? নজর ইডির
এ দিকে, নিয়োগ মামলার তদন্তে গোয়েন্দাদের হাতে এ রকম ১০০ জন চাকরিপ্রার্থীর রেজাল্টের কপি এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৪-র টেটে তাঁরা কোয়ালিফাই করেছেন। তবে পরে তাঁরা বুঝতে পারেন, আসলে প্রতারিত হয়েছেন। প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতে ইতিমধ্যেই কুন্তলকে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল আগেই দাবি করেছিলেন, তিনি কুন্তলকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রার্থীর থেকে ১৯ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। তবে সেই পরীক্ষার্থীদের তিনি চাকরি করাতে পারেননি। সেই টাকা ফেরতও দেননি কুন্তল। ওই প্রার্থীদের সঙ্গে ওয়েবসাইট জালিয়াতির মাধ্যমে প্রতারণা করা হয়েছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

SSC Scam In West Bengal : দুটো নির্দিষ্ট উত্তর, বাকি খাতা ফাঁকা!
এরই মধ্যে, কুন্তলের কাছে ২০২২-এর টেটের কিছু ওএমআর শিট পাওয়া প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘পর্ষদের কাছে একটি উত্তরপত্র রয়েছে। আপনার কাছে একটি কপি রয়েছে। আপনি যদি সেই কপি কাউকে দেন, কোনও দালালকে বা দুষ্টচক্রকে দেন তা হলে তার দায় সরকারের নয়, পর্ষদেরও নয়। পর্ষদ তো বটেই, আমিও বলছি কোনও দালাল বা দুষ্টচক্রের ফাঁদে যদি পা দেন, তা হলে সেই দালাল বা দুষ্টচক্রের মতো আপনিও সমান অপরাধী। এ রকম কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। নিজের যোগ্যতা, মেধা ও পরিশ্রমের উপরে আস্থা রাখুন।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *