স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে তালিকা প্রকাশের সময় ছোটো গোবিন্দপুর এস.এন পাঁজা হাই স্কুলেই ছিলেন বুল্টি মালিক। তিনি দাবি করেন, কাউকে টাকা দিয়ে তিনি চাকরি পাননি এবং মৌখিক পরীক্ষায় ৫ ও লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বর পাওয়ার কারণেই তিনি চাকরি পেয়েছেন। এই বুল্টি বলেন, “চাকরি বাতিলের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। জানার পর কী করব, সেই নিয়ে সিদ্ধান্ত। আমি কোনও নেতাকে টাকা পয়সা দিইনি। আমি পরিীক্ষার সময় সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। আমি মৌখিক পরীক্ষায় ৫ ও লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বর।” চাকরি বাতিলের খবর শুনে কার্যত হতাশ হয়ে পড়েন বুল্টি।
ছোটো গোবিন্দপুর এস.এন পাঁজা হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শফিক আহমেদ বলেন, “পূর্বতন প্রধান শিক্ষকের সময়ে বুল্টি মালিকে এই স্কুলে নিয়োগ করা হয়েছিল। ওনার ব্যবহার যথেষ্টই ভালো। সরকারিভাবে আমাদের কাছে এখনও কোনও নির্দেশ এসে পৌঁছয়নি। তবে উনি চলে গেলে স্কুলের চাবি খোলা থেকে বন্ধ সহ চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীর অন্যান্য যাবতীয় কাজ তাঁদেরই ভাগাভাগি করে করতে হবে।” অন্যদিকে বুল্টি চাকরি চলে যাওয়ার খবর এলাকা চাউর হওয়ার পর অনেকেই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ইন্দাসের বাসিন্দা অভিজিৎ কুমার রায় এই নামে এই ব্যক্তি এই প্রসঙ্গে বলেন, “রাজ্যে যেভাবে একের পর এক নিয়োগ দুর্নীতির খবর সামনে আসছে তাতে গোটা দেশের কাছে বাংলার মাথা নত হয়েছে। যেভাবে শিক্ষিত বেকাররা রাস্তায় দিনের পর দিন বসে রয়েছেন, আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে তাঁরা নিসঃন্দেহে মনোবল পাবেন।”