Recruitment Scam : আদালতের রায়, SSC প্রকাশিত তালিকায় চাকরি গেল তৃণমূল নেতার ভ্রাতৃবধূর – trinamool congress leader brothers wife lost her group d clerk job in bankura


West Bengal Local News: নিয়োগ দুর্নীতি বাংলায় এখন অন্যতম জ্বলন্ত ইস্যু। প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক, গ্রুপ ডি সহ একাধিক সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির প্রমাণিত হয়েছে। ধরা পড়েছে একের পর এক বেনিয়ম। আদালতের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে অসংখ্য চাকরিপ্রার্থীর। আদালতের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয়েছে ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর। ওই তালিকায় নাম রয়েছে বাঁকুড়ার ইন্দাসের ছোটো গোবিন্দপুর এস.এন পাঁজা হাইস্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী বুল্টি মালিকের। ঘটনাচক্রে বুল্টি পাত্রসায়েরের নারায়ণপুর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি আশিস মিদ্যার ভ্রাতৃবধূর। বুল্টিকে চাকরি দেওয়া নিয়ে আশিস মিদ্যার বিরুদ্ধে এলাকায় পোস্টারও পড়েছিল। শুক্রবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে ১৯১১ জন প্রার্থী চাকরি বাতিল করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। সেই বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের নাম ও রোল নম্বরেরও উল্লেখ ছিল।

SSC Group D Scam: চাকরি বাতিলের তালিকায় ৪২ গ্রুপ ডি কর্মীর নাম, এখনও কোনও নির্দেশ পায়নি স্কুল বলে দাবি
স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে তালিকা প্রকাশের সময় ছোটো গোবিন্দপুর এস.এন পাঁজা হাই স্কুলেই ছিলেন বুল্টি মালিক। তিনি দাবি করেন, কাউকে টাকা দিয়ে তিনি চাকরি পাননি এবং মৌখিক পরীক্ষায় ৫ ও লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বর পাওয়ার কারণেই তিনি চাকরি পেয়েছেন। এই বুল্টি বলেন, “চাকরি বাতিলের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। জানার পর কী করব, সেই নিয়ে সিদ্ধান্ত। আমি কোনও নেতাকে টাকা পয়সা দিইনি। আমি পরিীক্ষার সময় সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। আমি মৌখিক পরীক্ষায় ৫ ও লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বর।” চাকরি বাতিলের খবর শুনে কার্যত হতাশ হয়ে পড়েন বুল্টি।

SSC Scam: 800 শিক্ষকের চাকরি যাচ্ছে? দুর্নীতি ‘স্বীকার’ করে কী জানাল কমিশন
ছোটো গোবিন্দপুর এস.এন পাঁজা হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শফিক আহমেদ বলেন, “পূর্বতন প্রধান শিক্ষকের সময়ে বুল্টি মালিকে এই স্কুলে নিয়োগ করা হয়েছিল। ওনার ব্যবহার যথেষ্টই ভালো। সরকারিভাবে আমাদের কাছে এখনও কোনও নির্দেশ এসে পৌঁছয়নি। তবে উনি চলে গেলে স্কুলের চাবি খোলা থেকে বন্ধ সহ চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীর অন্যান্য যাবতীয় কাজ তাঁদেরই ভাগাভাগি করে করতে হবে।” অন্যদিকে বুল্টি চাকরি চলে যাওয়ার খবর এলাকা চাউর হওয়ার পর অনেকেই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ইন্দাসের বাসিন্দা অভিজিৎ কুমার রায় এই নামে এই ব্যক্তি এই প্রসঙ্গে বলেন, “রাজ্যে যেভাবে একের পর এক নিয়োগ দুর্নীতির খবর সামনে আসছে তাতে গোটা দেশের কাছে বাংলার মাথা নত হয়েছে। যেভাবে শিক্ষিত বেকাররা রাস্তায় দিনের পর দিন বসে রয়েছেন, আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে তাঁরা নিসঃন্দেহে মনোবল পাবেন।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *