জানা গিয়েছে, একটিমাত্র রুমেই আগুন লেগেছিল। মনে করা হচ্ছে শর্ট সার্কিট (Short Circuit) থেকে এই আগুন লাগে। আসানসোল (Asansol) দমকল থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও প্রশ্ন উঠছে হোটেলের ভিতরে ফায়ার অ্যালার্ম বা আগুন লাগলে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে যে জল দেওয়ার ব্যবস্থা থাকে তা কেন চালু হল না? তাহলে হয়তো আগুন এতটা ভয়াবহ হত না, এমনই অভিযোগ উঠেছে।
হোটেল সূত্রে জানা গিয়েছে ওই রুমটি পুরোটাই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। কিভাবে আগুন লাগল তা জানার চেষ্টা করছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। যদিও এই ঘটনায় কোন হতাহতের খবর নেই। এই বিষয়ে আসানসোল দমকল কর্তৃপক্ষের এক আধিকারিক জানান, “হোটেলের একটি ফ্লোরের একটি রুমেই আগুন লেগেছিল। সব জায়গায় আগুন ছড়ায়নি। দমকলের একটি ইঞ্জিন তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে চলে আসায় বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকে এই আগুন লেগেছে। পুরো নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বিশদে কিছু বলা সম্ভব নয়।” হোটেলের ম্যানেজার জানান, “এদিন সকালে হঠাৎ হোটেলের চারতলা থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। দ্রুত ওই ফ্লোরে গিয়ে দেখা যায় একটি রুমে আগুন লেগেছে।”
ম্যানেজার আরও জানান, “সেই মুহূর্তেই অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে ওই ফ্লোরের অতিথিদের রুমগুলি থেকে বের করে আনা হয়। কেউ আহত হননি এতে। হোটেলের তরফ থেকে তদন্ত করা হচ্ছে এই আগুন কি কারণে লাগল সেই বিষয়ে।” আগুন লেগে যাওয়া চারতলাতেই থাকা এক অতিথি হোটেলের নিচে দাঁড়িয়ে জানান, “আমি ওই ফ্লোরেই ছিলাম। হঠাৎ দেখলাম ধোঁয়া বেরোচ্ছে। কিছুটা শ্বাসকষ্ট শুরুও হয়েছিল। কিন্তু হোটেল কর্মীরা অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে সবাইকে বের করে আনেন। প্রাণ বেঁচে গিয়েছে, এই অনেক।”
উল্লেখ্য, গোটা আসানসোল শহরের মধ্যে এই গ্র্যান্ড হোটেলই (Grand Hotel) সব থেকে বড় হোটেল। প্রায় দিনই এই হোটেলে কোনও না কোনও বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে পার্টির অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। সেই সময়ে যদি এই অগ্নিকাণ্ড ঘটত তাহলে কি হত সেই ভেবেই শিউরে উঠছেন হোটেল কর্মীরা।