পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবার সন্ধ্যায় নিজের বাড়ির অদূরেই আলু ক্ষেতে জল দিতে গিয়েছিলেন সুচিত্রা। কিন্তু, অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও তিনি বাড়ি ফিরে না আসায় তাঁর ছেলে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর আলু ক্ষেতের পাশেই সুচিত্রার গলাকাটা রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে সে। এরপরেই খবর ছড়াতে ঘটনাস্থলে ভিড় জমে যায়। খবর পেয়ে ক্যানিং থানার পুলিশও আসে ঘটনাস্থলে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছে তাঁকে। ঘটনাস্থল থেকে একটি কোদালও উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে সঠিক কি কারণে খুন সে সম্পর্কে জানা যায়নি।
নিহতের পরিবারের দাবি, সুচিত্রা এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী ছিলেন, আর সেই কারণেই অর্থাৎ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বশেই তাঁকে খুন করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বও জানান, নিহত মহিলা তৃণমূলের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তিনি এলাকায় সরকারি আবাস যোজনা ঘরের কাগজপত্রে কী অসুবিধা তা জানতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সই সংগ্রহ করেছিলেন। এই নিয়ে এলাকার তৃণমূলের দলেরই মধ্যে এক অংশের ক্ষোভ ছিল। আর সেই ক্ষোভের কারণে তাকে খুন হতে হয়েছে বলে এলাকার উপপ্রধান ও তৃণমূলের একাংশের নেতৃত্ব দাবি। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই সকাল থেকে গ্রামবাসীরা ভিড় জমায় মৃত মহিলা সুচিত্রা মন্ডলের বাড়িতে। এলাকায় চলছে পুলিশের টহল। পুরো বিষয়টি তদন্ত করছে ক্যানিং থানার পুলিশ। তবে তৃণমূলের নেতৃত্ব জানান তারা এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত চায়।
