কৃষকদের দাবী জল না পেলে তারা কাজ করতে পারবেন না। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই তৃণমূল নেতা গৌতম দাস অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “কৃষকরা যাতে সেচের কাজের জন্য জল পান সেই বিষয়টি প্রশাসন দেখছে ও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বারুইপুর থানার পুলিশ (Baruipur Police Station)। এই বিষয়ে বারুইপুরের মহকুমাশাসক সুমন পোদ্দার বলেন, “সেচ দফতরের একটি টিম এলাকা সার্ভে করছে। দু’দিনের মধ্যে এই সার্ভে শেষ হবে। তারা রিপোর্ট দেবে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই চাষের জন্য জলের ব্যবস্থা করা হবে।” এই বিষয়ে এদিন বিক্ষোভরত এক কৃষক জানান, “পরিকল্পিতভাবে আমাদের সেচের কাজের জল আটকে দেওয়া হয়েছে। গৌতম দাস নামের ওই তৃণমূল নেতা এই কাজের পিছনে জড়িত। আমাদের জমির ওপর অনেকদিন ধরে নজর রয়েছে ওনার আর ওনার দলবলের। কিন্তু আমরা নাছোড়বান্দা মনোভাব নিয়ে বসে আছি যে এই জমিতে চাষ করেই আমাদের পেট চলে। তাই আমরা জমি ছাড়ব না।” এই কারণেই ব্রীজ তৈরির বাহানা দিয়ে জল বন্ধ করেছেন শাসকদলের ওই নেতা, অভিযোগ করেছেন কৃষকরা।
যদিও এই অভিযোগ পত্রপাঠ খারিজ করেছেন ওই তৃণমূল নেতা। এই বিষয়ে অভিযুক্ত নেতা গৌতম দাস বলেন, “এগুলি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহিন অভিযোগ। এমন কোনও ব্যাপার নেই এখানে। কারোর উসকানিতে কৃষকরা এইসব কথা বলছেন। জয়নগর কুলপি রোডের উপর সুর্যপুরে ব্রীজ নির্মানের কাজ করা হচ্ছে। সেই কারনেই ওখানকার কৃষকদের কিছুদিন সেচের কাজের জল পেতে অসুবিধে হচ্ছে। আমি বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে কথা বলেছি। ওনারা যাতে খুব তাড়াতাড়ি সেচের কাজের জন্য জল পান সেই বিষয়টি প্রশাসন দেখছে ও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এদিকে, আর কয়েকদিনের মধ্যে যদি জল না পান, তাহলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন ওই এলাকার কৃষকরা।