Haripal Sramajibi Hospital: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জমানো টাকায় আস্ত হাসপাতাল, এগিয়ে এলেন ভিক্ষুকও! নজির হরিপালে – haripal villegers helped in construction of sramajibi hospital with lakshmir bhandar money


ভিখারির শেষ সম্বল। আর গ্রামের মেয়েদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জমানো টাকা। জোড়া দানের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে আস্ত একটা হাসপাতাল। ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে বহির্বিভাগ। এখন পর্যন্ত প্রায় সাত হাজার মানুষ চিকিৎসা পেয়েছেন সেখানে। সঞ্চিত শেষ সম্বলটুকু দিয়ে হাসপাতাল তৈরি করে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন হুগলির হরিপালের পাঁচগাছিয়ার বাসিন্দারা। বর্তমানে ওই হাসপাতালে ওয়ার্ড তৈরির দিকে নজর দিয়েছেন তাঁরা। শ্রমজীবী হাসপাতালের সহযোগিতায় চলছে সেই চেষ্টা। কী ভাবে স্বপ্ন সফল করলেন তাঁরা? কোনও যাদুমন্ত্রে আস্ত একটা হাসপাতাল তৈরির সাহস পেলেন গ্রামবাসীরা? বিরাট কর্মযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় ও তুলসী দাস বন্দ্যোপাধ্যায়রা ‘এই সময় ডিজিটাল’-কে জানিয়েছেন রূপকথার সেই সফরের কাহিনি।

Hooghly News : কেভেন্টার চিটফান্ড সংস্থার মালিককে ধরতে আরামবাগে পুলিশি হানা, পলাতক অভিযুক্ত

দানের অর্থে হাসপাতাল
হরিপালের পাঁচগাছিয়ায় কোনও হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র না থাকায় চিকিৎসার জন্য গ্রামবাসীদের দূরদুরান্তে যেতে হত। এই অবস্থায় হাসপাতালের জন্য দেড় বিঘা জমি দান করেন বন্দ্য়োপাধ্যায় পরিবার। এর পরই কর্মযজ্ঞে ঝাঁপিয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। বেলুড়ের শ্রমজীবী হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁরা। দানের জমিতে চারতলা ইমারত তৈরি করে হাসপাতাল চালুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়। হাসপাতাল চালুর জন্য শুরু হয় কুপন কেটে অর্থ সংগ্রহ। টাকা দিতে এগিয়ে আসেন সমাজে বহু উচ্চবিত্ত মানুষ। পাশাপাশি, সেখান লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে জমানো টাকা দান করেন গ্রামের মহিলারা। শুধু তাই নয়, অর্থ দান করেন স্থানীয় এক ভিখারিও।

Hooghly News: আশীর্বাদ সোশাল মিডিয়া! কয়েকমাস ধরে নিখোঁজ নবতিপর মায়ের সন্ধান ছেলের
ওয়ার্ড তৈরির পরিকল্পনা
হরিপাল হাসপাতালের অন্যতম কর্ণধার সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “হাসপাতাল তৈরির জন্য বিপুল অর্থের প্রয়োজন ছিল। কুপন কেটে সেই অর্থ কতটা পাব, তা নিয়ে সন্দিহান ছিলাম আমরা। পরে অবশ্য সবাই এগিয়ে আসেন। যে ভাবে গ্রামের মেয়েরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা তুলে দিয়েছেন, তাতে আমরা অভিভূত। সবচেয়ে বড় কথা হল, সহায় সম্বলহীন এক ভিখারিও টাকা দিয়েছেন এই হাসপাতালের জন্য।” উল্লেখ্য, বর্তমানে চারতলা হাসপাতালে ওয়ার্ড তৈরির পরিকল্পনা করেছেন গ্রামবাসীরা। “এখনও ৬০ লাখ টাকা খরচ করে কাজ করছি আমরা। আরও কিছু যন্ত্রপাতি কিনতে হবে। তার পর চালু করা যাবে ওয়ার্ড। তবে যেভাবে সবাই পাশে আছে, তাতে সমস্ত প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে যেতে পারব।” আত্মবিশ্বাসের সুর শোনা গিয়েছে হাসপাতালের অন্যতম কর্নধার সন্দীপনের গলায়।

Hooghly News : জঙ্গল ছেড়ে আরামবাগের লোকালয়ে দাঁতালের হানা, আতঙ্কে এলাকাবাসী
চালু হয়েছে বহির্বিভাগ
করোনা পরবর্তী সময়ে দু’বছর আগে ২০২১-এ চালু হয় হাসপাতালের বহির্বিভাগ। সেখানে মাত্র ১১ টাকার বিনিময় পরিষেবা পান গ্রামবাসীরা। আরও এক বছরের মধ্যেই ওয়ার্ড চালু করা যাবে বলে আশা কর্তৃপক্ষের।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *