শুক্রবার রাতের অন্ধকারে চিটফান্ড কাণ্ডে তল্লাশি আরামবাগে। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে এই অভিযান চলে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, মূল অভিযুক্ত অমিত কুমার ধারার ভাড়া বাড়িতে এই তল্লাশি চলে। পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, চিটফান্ড কোম্পানি কেভেন্টার গ্রুপের কর্ণধার অমিত কুমার ধারার নামে আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। পাঠলি ও আরামবাগ থানার (Arambagh Police Station) পুলিশ যৌথ ভাবে হুগলির গোঘাটের কুমুড়শা অঞ্চলে হানা দেয়। সেখান থেকে অমিত কুমার ধারার মামাকে আটক করে আরামবাগ থানায় নিয়ে আসা হয়। তারপর মূল অভিযুক্ত অমিত কুমার ধারার টাওয়ার লোকেশন ধরে তল্লাশি শুরু হয়।
পুলিশ শুক্রবার রাতে আরামবাগের লিঙ্করোডের একটি তিনতলার রুমের বাড়িতে অমিতের মেয়ে ও স্ত্রীর সন্ধান পায়। এর আগে গত চার বছরে তিন-চার জায়গায় বাড়ি পাল্টে থাকে অমিত। এদিন রাত্রি বারোটা নাগাদ অমিতের ভাড়া বাড়িতে কোর্টের অর্ডার নিয়ে প্রবেশ করে পুলিশ। তল্লাশির পাশাপাশি মেয়ে ও স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। যদিও সেইভাবে টাকার খোঁজ পাওয়ায় যায়নি। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, গোঘাটে পুলিশের অভিযানের খবর পেয়েই অমিত কুমার পালিয়ে যায়। যদিও সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, আরামবাগের বসন্তপুর এলাকায় নিজের বাড়ি থেকেই গ্রেফতার খানাকুল এক নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সহ সভাপতি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI ৪ জানুয়ারি গ্রেফতারি পরোয়ানা ঘোষণা করে। CBI সূত্রে জানান হয়, ২০১৩ সালের ২০ এপ্রিল ভারত কৃষি সমৃদ্ধি লিমিটেড নামে এক চিটফান্ড কোম্পানির নামে অভিযোগ দায়ের হয়। BJP-র দাবি, এই কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ছিলেন বর্তমান তৃণমূলের খানাকুল ১ ব্লক সহসভাপতি প্রবীর চট্টোপাধ্যায়। পরবর্তীতে সেই মামলা CBI-এর হাতে যায় বলে খবর। পাশাপাশি আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে নামে ED-ও। আরামবাগ মহকুমা আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজত দিয়েছেন বিচারক।