পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতেরা হল রায়গঞ্জের বাসিন্দা সুরজ মাহাতো, পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের বাসিন্দা রঞ্জন প্রামানিক এবং দক্ষিন ২৪ পরগনার বজবজের বাসিন্দা মঞ্জুর আলম। এর মধ্যে মঞ্জুর আলম ওই হাসপাতালের কর্মী। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ফুলেশ্বরের বেসরকারি হাসপাতাল (Private Hospital) কর্তৃপক্ষ লক্ষ্য করেন তাদের হাসপাতালের ICCU থেকে ১৪টি ভেন্টিলেটার মেশিন ও তার সরঞ্জাম চুরি হয়ে গিয়েছে।
সূত্রের খবর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উলুবেড়িয়া থানার পুলিশকে (Uluberia Police Station) বিষয়টি জানান। এরপরেই উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় খোজখবর নেওয়া শুরু করে। পুলিশ প্রশাসন সূত্রে খবর, সম্প্রতি পুলিশ জানতে পারে বাজারপাড়া এলাকায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে দুই যুবক অপেক্ষাকৃত কম দামে বিভিন্ন বহুমূল্য মেশিন বিক্রি করেছে। বেশ কয়েকদিন উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ অভিযুক্তদের উপর নজরদারি চালানোর পর রবিবার দুপুরে বাজারপাড়া এলাকার একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে সুরজ মাহাতো এবং রঞ্জন প্রামানিককে গ্রেফতার করে উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে মঞ্জুর আলম নামে আরোও এক যুবককে গ্রেফতার করে। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, সুরজ ও রঞ্জন আগে ফুলেশ্বরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করলেও কয়েকমাস আগে তারা চাকরি ছেড়ে দেয়।
এরপরেই তারা ওই হাসপাতালের কর্মী মঞ্জুর আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং তার সহযোগিতায় মেশিনগুলো হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নিয়ে আসে। তিনি জানান ধৃত তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রে আর কারা জড়িত সেই বিষযে তদন্ত করা হবে। এই বিষয়ে ওই হাসপাতালের এক কর্মী জানান, “চুরি যাওয়ার বিষয়টি হাসপাতালের তরফ থেকে লিখিতভাবে পুলিশকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেই চুরির সঙ্গে যে হাসপাতালেরই বহুদিনের কর্মী মঞ্জুর আলম জড়িত থাকবে, তা কেউই ভাবতে পারেনি। আমরাও অবাক হয়ে গিয়েছি। কারণ আগে কোনোদিন মঞ্জুর আলমের এই ধরনের ঘটনায় যুক্ত থাকার কথা শোনা যায়নি।”