Purba Medinipur : রঙিন মাছ নিয়েই দিন কাটে, বাড়িতে ব্যবসা জমিয়ে নজির নন্দীগ্রামের মনোরমার! আয় জানেন? – nandigram old lady doing good business with colouring aquarium fish


West Bengal News : ঘরের অ্যাকুরিয়ামে লাল, নীল মাছের শখ ছিল অনেকদিন। সেই শখকে সম্বল করে স্বনির্ভর হয়ে দেখালেন নন্দীগ্রামের (Nandigram) ষাটোর্ধ্ব মহিলা। নন্দীগ্রাম-১ নম্বর ব্লকের আকোন্দবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা মনোরমা পানী। বাড়ির আঙ্গিনায় রীতিমতো চমক লাগয়ে চাষ করছেন বিভিন্ন রঙের ছোট বড়ো মাছ। লক্ষ্মী লাভও হচ্ছে যথেষ্ট। সংসারের কাজ মিটিয়ে মনোরমা দেবী তাই অনেকটাই সময় ব্যয় করেন রেড ক্যাপ, মিল্কি বার্ব, গোল্ড ফিশের পিছনে।

Digha Beach: দিঘার নয়া আকর্ষণ, নীল তিমির চোয়াল থেকে লায়ন ফিশ নিয়ে তৈরি নয়া সংগ্রহশালা
মাছ অনেকেই বাড়িতে পোষেন, নেহাত শখের কারণে। শখের বশে শুরু করলেও উদ্যোক্তা মনোরমা পানী কিন্তু এই শখকেই ব্যবসা হিসেবে নিয়ে সাফল্য পেয়েছেন। বাড়ির সামনে চৌবাচ্চা ও পুকুরে করছেন বিভিন্ন রঙিন মাছের চাষ। তবে কেবল চাষই নয় , তিনি মাছ গুলোর প্রজননও করান। কিন্তু একা হাতে এই বয়সে কীভাবে এত বড় কর্মকাণ্ড সামলাচ্ছেন ? তার উত্তর তিনি নিজেই দিয়েছেন। বলেন, অতি সহজেই বাড়ির সামনে চৌবাচ্চা নির্মাণ করে এই সব অ্যাকুরিয়ামে ফিশ-এর (Aquarium Fish) চাষ করা যায়। বাড়ির মহিলারা এর ফলে সাংসারিক কাজের সঙ্গে সঙ্গে পেতে পাড়েন বাড়তি আয়।

Malda News : গাঁদা ফুল চাষ করে ধনকুবের! মালদার দেবব্রতর মাসে আয় জানেন?
তাছাড়া অ্যাকুরিয়ামের দোকানে রঙিন মাছের ভালোই চাহিদা আছে এবং বাইরের দেশেও রফতানি হয়। গোল্ড ফিশ, ডিসকাস, অসকাস, রেড ক্যাপ, রেড আই, মিল্কি, বার্ব প্রভৃতি প্রজাতির রঙিন মাছ চাষ করেন তিনি। এই সব মাছ সাধারণত মশার লার্ভা খায়। এছাড়া বাজারে পাওয়া মাছের কেঁচো, ড্রাইফুট ইত্যাদিও দেওয়া হয়। প্রতিদিন পরিচর্যা করতে হয়। মাছের রোগ হচ্ছে কিনা সে বিষয়েও খেয়াল রাখতে হয়। মনোরমা পানি বলেন, “আমার এমন কিছু করা ইচ্ছা ছিল, যেখানে অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায়। আমি দেখলাম, রঙিন মাছ চাষ আমাকে আনন্দ ও অর্থ দুটোই দিচ্ছে। আমার তেমন কষ্ট হচ্ছে না। তাই বৃহৎ পরিসরে শুরু করার জন্য চেষ্টা করি। এই বিষয়ে মৎস্য দফতরের সহযোগিতাও পেয়েছি।”

Sea Food Processing Center : হলদিয়ায় তৈরি হচ্ছে দেশের বৃহত্তম সি ফুড প্রসেসিং কেন্দ্র
নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের মৎস্যচাষ সম্প্রসারণ আধিকারিক সুমন কুমার সাহু জানান, বিভিন্ন হোটেল, রেস্তরাঁ ও বাড়িতে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজে শৌখিন মানুষ এসব মাছ পালন করেন। এসব মাছের দাম একটু বেশি। তা ছাড়া এ মাছের চাষাবাদে প্রয়োজন নেই অতিরিক্ত সময়ের। নির্ধারিত সময়ে খাবার ও একটু যত্ন নিলেই ব্যাপক লাভবান হতে পারেন উদ্যোক্তারা। তাই রঙিন মাছ চাষের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করা সম্ভব বলে দাবি করেন এ মৎস্য আধিকারিক। মহিলা স্বনির্ভর দলদের প্রয়োজনে ই-লার্নিং এর মাধ্যমে এই বিষয়ে অনলাইন প্রশিক্ষনের ব্যাবস্থা করছে নন্দীগ্রাম-১ নম্বর ব্লক মৎস্য বিভাগ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *