TET Scam Kolkata: আসলজন অসুস্থ, ৪ বছর ধরে ক্লাস করাচ্ছেন প্রক্সি শিক্ষক! অভিযোগ ঘিরে শোরগোল – teachers scam comes in daylight at jalpaiguri as other people giving proxy for appointed teacher


WB Teachers Recruitment শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের মাঝেই সামনে এল মারাত্মক এক অভিযোগ। শিক্ষক পদে নির্বাচিত প্রার্থীর বদলে চার বছর ধরে ক্লাস করাচ্ছে প্রক্সি প্রার্থী। শিক্ষক পদে চাকরি পাওয়া প্রার্থীর অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে ক্লাস নিচ্ছেন তাঁদের আত্মীয়। চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আসতেই হইচই ডুয়ার্সে।

প্রক্সি শিক্ষকের অভিযোগ সামনে এসেছে জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট ব্লকের পূর্ব গয়েরকাটা অ্যাডিশনাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সরকারি খাতায় চাকরি পাওয়া শিক্ষকের বদলে গত চার বছর ধরে এই স্কুলে ক্লাস করাচ্ছেন প্রক্সি শিক্ষক। জানা গিয়েছে, এই স্কুলের শিক্ষক সুদীপ্ত কুমার দে। তিনি গত চার বছর ধরে অসুস্থ বলে দাবি তার বোনের। তাই দাদার যায়গায় প্রক্সি দিচ্ছে তার বোন রূপা দে। চারবছর ধরে বেতনও পাচ্ছেন তিনি।

শুধু এখানেই শেষ নয়। এই স্কুলের অপর এক প্যারা টিচার মনি পাল বোস। তিনিও প্রায় এক বছর ধরে অসুস্থ বলে দাবি তাঁর ছেলে প্রীতম বোসের। তাই তাঁর জায়গায় প্রক্সি দিচ্ছেন প্রীতমবাবু। তিনি আবার একসঙ্গে দুটি পেশা সামলাচ্ছেন বলে অভিযোগ। প্রীতমবাবু শুধু এই স্কুলে পড়ান না তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস (MES) দফতরে কর্মরত বলে জানান তিনি।

Balurghat News: পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে দিয়ে শৌচাগার পরিষ্কার করানোর অভিযোগ, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অভিভাবকদের

এখন প্রশ্ন উঠছে আদৌ কি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমনটা করা যায়? কী করে কোন নিয়মে সম্ভব যে একজন শিক্ষকের জায়গায় তার পরিবারের লোকেরা প্রক্সি দেবে? বড় প্রশ্ন উঠছে শিক্ষা দফতরের ভূমিকা নিয়েও। কী কারণে এই প্রক্সি শিক্ষকদের অনুমতি দিল স্কুলের প্রধান শিক্ষক তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন ।

SSC Recruitment Scam : স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ফের বহরমপুরে CID-র হানা

এই বিষয়ে দুই প্রার্থীর সঙ্গে আলাদা আলাদা ভাবে কথা বললে রূপা দে জানান,”আমার দাদা সুদীপ্ত কুমার দে। এই স্কুলের শিক্ষক। দাদা চার বছর ধরে অসুস্থ। তাই দাদা স্কুলে আসতে পারে না। আমি তাঁর জায়গায় ক্লাস করে দিচ্ছি। প্রধান শিক্ষিকার অনুমতিতেই করছি।” একই যুক্তি প্রীতম বোসেরও। তিনি নিজেই পুরো বিষয়টি স্বীকার করে জানান, ” তার মা এই স্কুলের প্যারা টিচার। মা অসুস্থ। তাই স্কুলে আসতে পারছে না। আমি স্কুল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ক্লাস নিচ্ছি।”

Bratya Basu : প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হয়নি ৭ বছর, জট কাটার আশ্বাস ব্রাত্যর

রূপা ও প্রীতম বোসের বিষয়টি নিয়ে বানারহাট ব্লকের পূর্ব গয়েরকাটা অ্যাডিশনাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সঞ্চালী গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ”স্কুলের তথ্য তিনি বাইরে জানাবেন না।” জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান লক্ষ্য মোহন রায়ের সঙ্গে কথা বলা হলে বিষয়টি শুনে চমকে ওঠেন। বলেন এই বিষয়ে তিনি সম্পূর্ণ অন্ধকারে। বিষয়টি নিয়ে তিনি খোঁজ নেবেন বলে জানিয়েছেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *