শুধু এখানেই শেষ নয়। এই স্কুলের অপর এক প্যারা টিচার মনি পাল বোস। তিনিও প্রায় এক বছর ধরে অসুস্থ বলে দাবি তাঁর ছেলে প্রীতম বোসের। তাই তাঁর জায়গায় প্রক্সি দিচ্ছেন প্রীতমবাবু। তিনি আবার একসঙ্গে দুটি পেশা সামলাচ্ছেন বলে অভিযোগ। প্রীতমবাবু শুধু এই স্কুলে পড়ান না তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস (MES) দফতরে কর্মরত বলে জানান তিনি।
এখন প্রশ্ন উঠছে আদৌ কি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমনটা করা যায়? কী করে কোন নিয়মে সম্ভব যে একজন শিক্ষকের জায়গায় তার পরিবারের লোকেরা প্রক্সি দেবে? বড় প্রশ্ন উঠছে শিক্ষা দফতরের ভূমিকা নিয়েও। কী কারণে এই প্রক্সি শিক্ষকদের অনুমতি দিল স্কুলের প্রধান শিক্ষক তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন ।
এই বিষয়ে দুই প্রার্থীর সঙ্গে আলাদা আলাদা ভাবে কথা বললে রূপা দে জানান,”আমার দাদা সুদীপ্ত কুমার দে। এই স্কুলের শিক্ষক। দাদা চার বছর ধরে অসুস্থ। তাই দাদা স্কুলে আসতে পারে না। আমি তাঁর জায়গায় ক্লাস করে দিচ্ছি। প্রধান শিক্ষিকার অনুমতিতেই করছি।” একই যুক্তি প্রীতম বোসেরও। তিনি নিজেই পুরো বিষয়টি স্বীকার করে জানান, ” তার মা এই স্কুলের প্যারা টিচার। মা অসুস্থ। তাই স্কুলে আসতে পারছে না। আমি স্কুল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ক্লাস নিচ্ছি।”
রূপা ও প্রীতম বোসের বিষয়টি নিয়ে বানারহাট ব্লকের পূর্ব গয়েরকাটা অ্যাডিশনাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সঞ্চালী গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ”স্কুলের তথ্য তিনি বাইরে জানাবেন না।” জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান লক্ষ্য মোহন রায়ের সঙ্গে কথা বলা হলে বিষয়টি শুনে চমকে ওঠেন। বলেন এই বিষয়ে তিনি সম্পূর্ণ অন্ধকারে। বিষয়টি নিয়ে তিনি খোঁজ নেবেন বলে জানিয়েছেন।