সব্যসাচী বাগচী
তাঁর অধিনায়কত্বে ২০১৯-২০ মরসুমে রঞ্জি ট্রফি (Ranji Trophy 2019-20) জিতেছিল সৌরাষ্ট্র। রাজকোটে (RajkoT) সেবার প্রতিপক্ষ ছিল বাংলা (Bengal)। এবারও মনোজ তিওয়ারির (Manoj Tiwary) দলের বিরুদ্ধে ফের একবার মেগা ফাইনাল। তবে ভেন্যু রাজকোট নয়। বরং ইডেন গার্ডেন্স (Eden Gardens)। তাই ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে চলা ফাইনালে খেলার জন্য জয়দেব উনাদকাটকে (Jaydev Unadkat) ছেড়ে দিল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। রবিবার বিকেলের দিকে বিসিসিআই-এর (BCCI) তরফ থেকে টুইট করে সেই খবর জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে সৌরাষ্ট্রের (Saurashtra) অধিনায়ককে একেবারেই গুরুত্ব দিতে রাজি নয় বঙ্গ ব্রিগেড। বরং ১৯৮৯-৯০ মরসুমের পর ফের একবার ঘরের মাঠে রঞ্জি ট্রফি ফাইনাল (Ranji Trophy Final 2023) খেলা নিয়েই ভাবনাচিন্তা করছেন হেড কোচ লক্ষ্মী রতন শুক্লা (Laxmi Ratan Shukla)।
রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid) ও রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) সম্মতি নিয়েই এই বাঁহাতি অভিজ্ঞ জোরে বোলারকে দ্বিতীয় টেস্টের আগে রিলিজ করা হল। যদিও ভারতীয় দলের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নন লক্ষ্মী। তিনি বলেন, “জয়দেব উনাদকাটকে রিলিজ করে দেওয়া নিয়ে আমি একেবারেই চিন্তিত নই। আমি শুধু নিজের দল ও ক্রিকেটারদের নিয়েই চিন্তা ভাবনা করছি।”
— BCCI (@BCCI) February 12, 2023
স্বাধীনতার আগে থেকে ২০১৯-২০ মরসুম পর্যন্ত মোট ১৩বার রঞ্জি ফাইনালে উঠেছে বাংলা। তবে ট্রফি এসেছিল ৩০ বছর আগে। ১৯৮৯-৯০ মরসুমে দিল্লির বিরুদ্ধে এই ইডেনেই ভারতসেরা হয়েছিল সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা। লক্ষ্মী নিজের কেরিয়ারে দুবার ফাইনাল খেলেছেন। ২০০৫-০৬ মরসুমে উত্তর প্রদেশের বিরুদ্ধে ফাইনালে হেরে যাওয়ার পর, পরের বার মুম্বইয়ের বিরুদ্ধেও রানার্স হয়ে থাকতে হয়েছিল। এমনকি ২০১৯-২০ মরসুমেও অনেক লড়াই করে ট্রফি হাতে আসেনি। সেবার সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হেরে যায় বাংলা। তবে এবার ঘরের মাঠে দ্বিতীয়বার রঞ্জি জিতে চাকা ঘোরাতে মরিয়া বঙ্গ ব্রিগেড।
লক্ষ্মী বলেন, “আমরা আনন্দে মেতে ওঠার মতো কিছু করিনি। এটা আরও একটা ম্যাচ জয়। আমি আগেও বলেছি আবার বলছি, এখনও রঞ্জি শেষ হয়নি। আমাদের লক্ষ্য ট্রফি জয়। সেটা এখনও বাকি আছে। এখনও অনেক রাস্তা হাঁটতে হবে। ঘরের মাঠে ইডেনে খেলা হবে। আমাদের লক্ষ্য এখন সেটাই।”
রবিবার রাতেই ফিরে আসছেন অনুষ্টুপ মজুমদার-আকাশ দীপরা। সোমবার বিশ্রাম নেবে বাংলা। লক্ষ্মী যোগ করেন, “ছেলেদের একটু বিশ্রাম দরকার। মানসিক এবং শারীরিক ভাবে বিশ্রাম চাই। রাতেই ফিরছি আমরা। সোমবার বিশ্রাম নেব। মঙ্গলবার থেকে অনুশীলনে নেমে পড়ব। হাতে সময় বেশি নেই। বৃহস্পতিবার থেকে ফাইনাল খেলতে নামবে দল।”
বঙ্গ বোলারদের দাপটের পর ফের ব্যাট হাতে অনুষ্টুপ ও প্রদীপ্তর লড়াকু ইনিংস। সেটা দেখে মনে হচ্ছিল, ‘এটা একেবারে অন্য বাংলা। যারা ঘরে ঢুকে মারতে জানে।’ নিজের দলের পতন ড্রেসিংরুমে বসে দেখতে বাধ্য হন গতবারের রঞ্জি ট্রফি জয়ী কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত। ক্ষোভে তাঁর চোখ-মুখ লাল হয়ে যাচ্ছিল। এই ম্যাচ শেষ হওয়ার আগে থেকেই জয়দেব উনাদকাট-অর্পিত ভাসাবাদার বিরুদ্ধে বদলা নেওয়ার ছক কষতে শুরু করে দিয়েছেন লক্ষ্মী-মনোজ।