Calcutta High Court : চাকরিপ্রার্থীর সুইসাইড নোটে জনৈক পার্থর নাম, CBI তদন্ত চাওয়া মামলার অনুমতি বিচারপতি মান্থার – calcutta high court justice rajasekhar mantha orders to file plea in demand of cbi investigation on lalgola job seeker suicide case


Produced by Rupsa Ghosal | EiSamay.Com | Updated: 13 Feb 2023, 1:29 pm

লালগোলায় আত্মঘাতী চাকরিপ্রার্থীর সুইসাইড নোটে উল্লেখ রয়েছে জনৈক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম। এই ঘটনায় CBI তদন্ত চেয়ে মামলার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট

 

হাইলাইটস

  • চাকরিপ্রার্থীর সুইসাইড নোটে পাওয়া গেল জনৈক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম
  • উলটে লালগোলা থানার চার্জশিটে মৃতের নাম
  • CBI তদন্ত চেয়ে মামলার অনুমতি বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার
ঘুষের টাকা দিয়েও মেলেনি গ্রুপ ডি পদের চাকরি (Group D Recruitment)। আর তাই বাধ্য হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন লালগোলার বাসিন্দা আবদুল রহমান। তাঁর মৃত্যুর পর উদ্ধার হয়েছিল একটি সুইসাইড নোটও। সেখানে কোনও এক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার কথা উল্লেখ করা ছিল। এই ঘটনায় লালগোলা থানা মৃতের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছিল। এর বিরুদ্ধে আদালতে CBI তদন্তের দাবি ওঠে। অবশেষে সেই দাবি মেনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত চেয়ে মামলা দায়েরের অনুমতি দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha)।

Calcutta High Court : ৪০০ কোটির দুর্নীতি! কলকাতা হাইকোর্টেই ED-র হাতে গ্রেফতার হাওড়ার ২ ব্যবসায়ী

চাকরিপ্রার্থীর সুইসাইড নোটে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম!

ঘটনার সূত্রপাত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। জানা যায়, গ্রুপ-ডি শিক্ষক পদে চাকরির (Group D Recruitment) জন্য ছয় লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন আবদুর রহমান। কিন্তু, ঘুষের টাকা দিয়েও চাকরি না মেলায় অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। অবশেষে বছর ২৫-এর এই যুবক আত্মঘাতী হন। তাঁর ঘর থেকে উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোটও। যেখানে জনৈক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বিরুদ্ধে এই ঘুষের টাকা তোলার কথা লিখে যান লালগোলার (Lalgola) ওই যুবক। সুইসাইড নোটটি উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করে লালগোলা থানার পুলিশ। প্রথমে তদন্তে নেমে অভিযুক্ত দিবাকর কনুইকে গ্রেফতার করা হয়। সে কান্দির বাসিন্দা হলেও কলকাতা (Kolkata) থেকে মিডলম্যান ভূমিকা পালন করছিল বলে তদন্তে উঠে আসে। এরপরই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) চিহ্নিতকরণে তদন্ত শুরু হয়। কিন্তু, পরবর্তীতে দেখা যায়, লালগোলা থানার পুলিশ মৃত আবদুর রহমানকেই অভিযুক্ত হিসেহে দেখিয়ে একটি চার্জশিট পেশ করেছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে CBI তদন্ত চেয়ে মামলার আবেদন জানানো হয়। অভিযোগ তোলা হয় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার। এই মামলারই শুনানি ছিল সোমবার। কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে মামলাটি উঠলে সওয়াল করেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, মৃতের চিঠিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলে জনৈক ব্যক্তি সহ একাধিকের বিরুদ্ধে চাকরির জন্য টাকা নেওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। নির্দিষ্ট সময় চাকরির জন্য টাকা দেওয়ার কথাও উল্লেখ রয়েছে। অথচ লালগোলা থানার পুলিশ চার্জশিটে মৃতের নামই উল্লেখ করেছে। শুনানি শেষে এদিন বিচারপতি মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha) ঘটনায় CBI তদন্ত চাওয়া মামলার অনুমতি দিয়েছেন।

আশপাশের শহরের খবর

Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *