এদিকে এই বিষয়ে আরও খোঁজ খবর করতে গিয়ে আরও একটি সন্তানের খোঁজ মেলে। বছর আড়াইয়ের ওই শিশুকেও অবৈধভাবে দত্তক নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ছিল। জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া শিশু দুটির বাবা ও মা একই। এই তথ্য সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে জেলা চাইল্ড ওয়েল ফেয়ার কমিটি। একই পরিবারের দুটি সন্তানকে অবৈধ ভাবে টাকা বা অন্য কিছুর প্রলোভন দেখিয়ে দুটি শিশুকে অন্যের হাতে তুলে দিয়েছেন বাবা-মা। জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির মোট চারটি সন্তান রয়েছে। প্রথম সন্তান কন্যা হওয়ার পর যমজ পুত্র ও কন্যা হয় এবং শেষ সন্তানটি পুত্র সন্তান ছিল। এই চার জনের মধ্যে যমজ কন্যা সন্তান ও শেষের পুত্র সন্তানকে অন্যের হাতে তুলে দেন তাঁরা। টাকা না আর্থিক অনটনের জন্য নিজের দুই সন্তানকে অন্যের হাতে তুলে দিয়েছেন তা এখনও পরিস্কার নয় চাইল্ড লাইন ও চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির কাছে।
যাঁদের কাছে দুটি শিশু পাওয়া গিয়েছে, তাঁদের বাড়ি অন্যত্র। সম্ভ্রান্ত পরিবার হওয়ার পরও কেন অবৈধভাবে সন্তান দত্তক নিলেন দুটি পরিবারই, সেই জায়গা থেকে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। এবিষয়ে জেলা চাইল্ড লাইনের কাউন্সিলর রীতা মাহাতো বলেন, “গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দুটি শিশুকে উদ্ধার করে তাদের চাইল্ড ওয়েল ফেয়ার কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। দুটি শিশুকেই বেআইনিভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে” অন্যদিক, এবিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে বলেন, “এ নিয়ে চাইল্ড ওয়েল ফেয়ার কমিটির তরফে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”