আসানসোলের নরসমুদা খনি সংলগ্ন এলাকায় বাড়ি রত্নেশ ভার্মার। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, এই রত্নের ভার্মা বেআইনি কয়লা পাচারের পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। চুরি হওয়া কয়লা রত্নেশের সাহায্যেই কয়লা মাফিয়ারা বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছাত। রত্নেশের নিজস্ব লরি ছিল এবং এই বেআইনি কয়লা পাচারের জন্য অন্যান্য লরিও সে নিজের কাজে ভাড়ায় খাটাত । প্যাড বা অবৈধ চালান দিয়ে এই কয়লা পাচার হতো বলে তদন্তে উঠে এসেছে। এর পাশাপাশি রত্নেশের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ সে এই পুরো কর্মকাণ্ডে লিঙ্ক ম্যানের কাজ করত। অর্থাৎ কয়লা চুরিতে মদত দেওয়া সহ বিভিন্ন খনি সংস্থার ম্যানেজার আধিকারিকদের টাকা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া রত্নেশের কাজ ছিল। দীর্ঘদিন ধরেই ফেরার ছিল রত্নেশ ভার্মা । হঠাৎই ৩১ জানুয়ারি আসানসোল সিবিআই আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করে রত্নেশ। সেই দিন বিচারক তাকে জেলে পাঠায়। পরবর্তীকালে ২ ফেব্রুয়ারি রত্নেশ ভার্মাকে পুনরায় কোর্টে তোলা হলে সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। হেফাজতে থাকাকালীন তার কাছ থেকে নানান চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রভাবশালীদের নাম পাওয়া গিয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। সোমবার রত্নেশ ভার্মাকে পুনরায় আদালতে তোলা হলে তাকে জেল হেফাজতে পাঠালেন বিচারক। তার বর্তমান ঠিকানা আসানসোল সংশোধনাগার। এই জেলে রয়েছেন গোরু পাচারে অভিযুক্ত বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলও।