মোট ১৯ দফা দাবিতে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। বারাসত আদালতে কর্মচারীরাও এদিন সকাল থেকে কর্মবিরতি পালন করেন। বকেয়া ডিএর দাবিতে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ দেখান কর্মচারীরা। যত দ্রুত সম্ভব ডিএ (DA) মিটিয়ে দিতে হবে না হলে আগামী দিনে আরও বড় আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়া হবে বলে জানান আন্দোলনকারীরা। উল্লেখ্য, এর আগে মাসের শুরুতে ১ ফেব্রুয়ারি ২ ঘণ্টার জন্য কর্মবিরতি পালন করা হয়। কর্মবিরতির কর্মসূচি আগেই ঘোষণা করেছিল সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন। সেই মতো এদিন দুপুর ২টো থেকে ৪টে পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেন তাঁরা। তখনই গোটা দিনের জন্য কর্মবিরতি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেইমতো পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সোমবার ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করা হয়। অন্যদিকে, শহীদ মিনারের তলায় ডিএর দাবিতে অনশন বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন সরকারি কর্মচারী সংগঠনের সদস্যরা। ডিএর দাবিতে অনশন টানা ১৮ দিন ধরে চলছে। পাশাপাশি, ধর্মতলায় সোমবার একটি ধরনা মঞ্চের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন জেলার সরকারি কর্মচারীরা এদিনের ধরনায় যোগদান করেন।
তবে এদিনের কর্মবিরতি থেকে হাসপাতালসহ জরুরি পরিষেবাগুলিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অফিসে উপস্থিত হয়ে স্বাক্ষর করে আন্দোলনে সামিল হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে। জেলায়, জেলায় মিছিল ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মচারীদের কর্মবিরতির জেরে সরকারি কাজ ব্যাহত হয় একাধিক সরকারি দফতরে। সরকারি কর্মাচারীদের ডিএ আটকে রাখার বিষয়ে সোমবার সকালে রাজ্য সরকারে ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি এদিন বলেন, “ ওঁদের কথা শোনা হয়নি। কেউ কথাই বলেনি ওঁদের সঙ্গে। ওঁরা যদি স্ট্রাইক করে, কী অবস্থা হবে রাজ্যের ? একদিন না একদিন বিস্ফোরণ হবেই।”