এছাড়াও তিনি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস মানুষকে উন্নয়নের পথে হাত ধরে নিয়ে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) দেখানো পথে। বাংলার প্রতিটি গ্রামে, বুথে, বাড়িতে বাড়িতে দিদির সুরক্ষা কবচ নিয়ে পৌছে যাচ্ছেন দলীয় কর্মীরা। সেখানে গিয়ে জানতে চাওয়া হচ্ছে আপনার কি দরকার। দশটা মানুষ আমায় চেনেন, রাস্তা দিয়ে গেলেও বলে কাকলি দি যাচ্ছে। সেখানে তার রাস্তা খারাপ থাকলে তিনি আমাকে না বলে কি পাশের পাড়ায় বলবেন? তাই আমাদের বলছেন। আর BJP বলছে মানুষ ক্ষোভ দেখাচ্ছে, অভিযোগ জানাচ্ছে।”
এই প্রসঙ্গে BJP-কে তিনি কটাক্ষ করে বলেন, “আসলে ওদের কোনও কর্মী নেই, ওদের কাছে কেউ যায় না। তাই ওদের হিংসা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে এত মানুষ কেন যাচ্ছে, তাই হিংসা হচ্ছে BJP-র। হিংসার কোন ওষুধ নেই, হিংসা করে দেখবি আর ফুলবি লুচির মতন। কিন্তু কোনও ওষুধ নেই হিংসার”, এমনই মন্তব্য করেন বারাসতের সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
সাংসদ তার বক্তব্যে বিগত ৩৫ বছরে বাম আমলে কি হয়েছে আর বর্তমানে কি হচ্ছে তার মধ্যে একটা পার্থক্য তুলে ধরেন। বাম আমলের বিভিন্ন ঘটনা, মানুষের উপর অত্যাচার তুলে ধরেন। পাশাপাশি বামেদেরকে পাড়ায় বা এলাকায় ঢুকতে না দেওয়ার পরামর্শও মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেন তিনি। এই প্রসঙ্গে সাংসদ বলেন, “বামেরা আর নতুন তৈরি হওয়া দল ISF মিলে গোটা এলাকা তথা জেলা জুড়ে আতঙ্ক আর সন্ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এদের একযোগে বয়কট করুন। এদের প্ররোচনাতে পা দেবেন না। পাড়ায় ঢুকতে এলে এদের পাড়ার বাইরে থেকে বিদায় করে দিন।” আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাম ও ISF জোট কোনও ছাপ ফেলতে পারবে না বলেই তিনি জানান ওই প্রতিবাদ সভায়।