BJP সভাপতি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় অভিযোগ করেন, “কেন্দ্রীয় সরকার কোটি কোটি টাকা খরচা করে গঙ্গা পরিচ্ছন্ন রাখতে। আর এখানে কোনোরকম বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়নি সাধু সন্ত ও ভক্তদের জন্য। যত্রতত্র মল মূত্র ত্যাগ করতে হচ্ছে, এতে গঙ্গা দূষনের সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে”। পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা না থাকায় বিশৃঙ্খলার তৈরী হয়েছে বলে অভিযোগ দূর দূর থেকে আসা ভক্তদের। এদিকে, বাঁশবেড়িয়া পুরসভার (Bansberia Municipality) চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী জবাব দিয়ে বলেন, “সুকান্ত বাবু রাজনৈতিক কথা বলেছেন। কিন্তু এই মহা মিলন মেলা রাজনীতির জায়গা নয়। আমি যতদিন চেয়ারম্যান আছি কেন্দ্রীয় সরকার আট আনাও দেয়নি। তবে এটা সত্যি বায়ো টয়লেট কম আছে। অস্থায়ী টয়লেট করা হয়েছে। বেশ কিছু স্কুল, ক্লাব প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল তাদের শৌচালয় ব্যবহার করতে দিচ্ছে। আটটা বড় শৌচালয় করা হয়েছে। ওনারা সব সময় রাজনীতি দেখেন”।
তিনি আরও বলেন, “আমরা যে রাজনৈতিক দল করি সেটা সামনে আনিনি। তাহলে দলের ফ্ল্যাগ ফেস্টুন থাকত মেলায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আমরা সেই ভাবেই পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি”। এদিকে, সাধুসন্তদের ভিড়ে জমে উঠেছে ত্রিবেণী ঘাট। কুম্ভকে কেন্দ্র করে বাঁশবেড়িয়ার ত্রিবেণীর কুম্ভমেলা প্রাঙ্গণে হয়ে উঠেছে মিনি ইন্ডিয়া। গতকাল রাতের মধ্যেই অসংখ্য সাধু ও পুণ্যার্থী এসে পৌঁছেছেন মেলা প্রাঙ্গণে। গতকাল থেকেই পুণ্যার্থীদের স্নানের ঢল নেমেছে। মহাতীর্থ ত্রিবেণীতে সাতশো বছর আগে কুম্ভের আয়োজন হত। সেই ঐতিহ্যকেই ফিরিয়ে আনতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মগরায় মহামণ্ডেশ্বর আখড়ার মোহান্ত মহারাজ কুম্ভের আয়োজনের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। কমিটিও তৈরি হয়েছে। ভিড়ের চাপে আয়োজকরাও বলছেন, প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি পুণ্যার্থী এসেছেন।