যদিও প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, মৃত যুবক চন্দন ঘোষ মাঝেমধ্যেই নেশা করত। কিন্তু এই ঘটনা ঘটবে অনেকেই ভাবতে পারছেন না। মৃত চন্দন ঘোষের মায়ের দাবি, “বেশ কিছুদিন আগেই ঘরে রাখা বাক্সের তালা ভেঙে টাকা চুরি করেছিল চন্দন ঘোষ। তারপর থেকেই বাবা নেপাল ঘোষ খুবই রেগে ছিল। চন্দন ঘোষ অতিরিক্ত মদ্যপান করায় তাঁর বাবা রেগে ছিলেন। রাগের বশেই চন্দনকে লোহার পাইপ দিয়ে মারধর করা হয়। কিন্তু ছেলের যে এইভাবে মৃত্যু হবে তা তারা কখনও স্বপ্নেও ভাবিনি।” প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, গতকাল রাতে চন্দনের স্ত্রী বুঝতে পারেন, তাঁর স্বামীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে। এরপর তিনি পাড়া- প্রতিবেশীদের খবর দেন। প্রতিবেশীরা গিয়ে লক্ষ্য করেন, চন্দনের শারীরিক অবস্থার যথেষ্ট অবনতি ঘটেছে। অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। এরপর স্থানীয় কাউন্সিলর, পুলিশকে খবর দেন এলাকার বাসিন্দারা।
চন্দনকে পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এক প্রতিবেশী বলেন, “শুনেছি ওঁর বাবার বাড়িতে কোনও গণ্ডগোল হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় কালকে ও বাড়ি ফিরেছিল। রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তবে কী কারণে এরকম হয়েছে আমরা বলতে পারব না।” চন্দনের স্ত্রীর বয়ানের ভিত্তিতে চন্দনের বাবা নেপাল ঘোষ এবং তাঁর দাদাকে আটক করে পুলিশ। ঠিক কী কারণে চন্দনকে এভাবে মারধর করা হয়, ঘটনার আসল কারণ কী ? সে ব্যাপারে তদন্তে নেমেছে রানাঘাট থানার পুলিশ।