এদিন সংবাদমাধ্যমের পাশাপাশি বেশ কিছু আইএসএফ কর্মী সমর্থক বারুইপুর আদালত চত্বরে উপস্থিত ছিলেন। বিধায়ককে দেখতেই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়। সাংবাদিকদের প্রশ্ন উত্তর দিতে গেলে পুলিশ তাঁকে টেনে ভিতরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখনই নিয়োগ দুর্নীতিতে জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনে আনেন মমতা। উল্লেখ্য, ২১ জানুয়ারি থেকে জেলবন্দি নওশাদও। কলকাতার ধর্মতলা চত্বরে অবরোধের সময় নওশাদ সহ ১৮ জন আইএসএফ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
২১ জানুয়ারি ভাঙড়ের হাতিশালা আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তৃণমূলের বেশ কিছু পার্টি অফিসও সেখানে ভাঙচুর করা হয়। ঘটনার প্রতিবাদে নওশাদের নেতৃত্বে ধর্মতলা মোড় অবরোধ করে আইএসএফ। অন্যদিকে নওশাদের গ্রেফতারির পর তাঁর মোবাইল থেকে চাঞ্চল্যকর বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে লালবাজারের তরফে দাবি করা হয়েছিল। কলকাতা পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, নওশাদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি কোটি টাকা লেনদেন করা হয়েছে। এমনকী টাকা লেনদেন সংক্রান্ত সূত্রের খোঁজে চেন্নাইতেও পাড়ি দিয়েছিল পুলিশ। পুলিশের তরফে এই দাবি সামনে আসার পর থেকে নওশাদতে তীব্র আক্রমণ করেছে তৃণমূল। সাংবাদি বৈঠক করে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম দাবি করেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এত টাকার লেনদেন কীভাবে হল? নওশাদের হোয়াটস্যাপের তথ্য থেকেও বিজেপি নেতাদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে।” নওশাদ মামলা এখন কোন দিকে যায়, সেটাই দেখার।