এদিকে জগদ্দল থানায় (Jagaddal Police Station) বিষয়টি জানিয়ে তালা ভেঙে দেন এক্সাইড পার্মানেন্ট মজদুর মোর্চা ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি সঞ্জয় সিং। এই ঘটনায় এদিন বিকেলে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় ব্যাটারি কারখানার গেটে। উত্তেজনা থাকায় কারখানা গেটে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। এদিকে, স্থানীয় কাউন্সিলর অভিমুন্য তেওয়ারি এই বিষয়ে জানান, “ওটা একজন ডাক্তারের চেম্বার ছিল। ঝান্ডা লাগিয়ে ওটা দখল করে নেওয়া হয়েছে। নিজেদেরকে তৃণমূলের নেতা ভাবেন, এমন কয়েক জন স্থানীয় দুষ্কৃতী ওখানে কয়েকটি পতাকা লাগিয়ে দেন। এর পর আজ জোর করে সেটি দখল করে ইউনিয়ন অফিস করেছে। বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।”
তিনি আরও বলেন, “ওখানে তালা বন্ধ করা হয়নি। আর তৃণমূলের একটাই ইউনিয়ন, INTTUC। আর কোনও ইউনিয়ন নেই।” যদিও এই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন এক্সাইড পার্মানেন্ট মজদুর মোর্চা ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি সঞ্জয় সিং। তিনি বলেন, “আমরা এক্সাইড পার্মানেন্ট মোর্চার পার্টি অফিসে তালাবন্ধ করে চলে গিয়েছিলাম। শুনলাম, আজ দুপুর সাড়ে ১২টা-১টার সময় অভিমন্যু তিওয়ারি এসে ওই তালার উপর আরও একটি তালা ঝুলিয়ে দেন।”
সঞ্জয় আরও বলেন, “আমরা জোর করে ইউনিয়ন অফিস খুলিনি। যে ডাক্তারবাবুর অফিস ছিল এটি, তিনিই ইউনিয়ন অফিস করার জন্য ওই ঘরটি দিয়েছেন। আমি এসে তালা ভেঙে দিয়েছি।” এই ঘটনা ঘিরে এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের গন্ধ এসেছে। যদিও এই বিষয়ে সঞ্জয় বলেন, “এখানে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। এখানে দু’খানাই তৃণমূলের ইউনিয়ন আছে।” যদিও এই তত্ত্ব মানতে নারাজ কাউন্সিলর অভিমুন্য তেওয়ারি। তাঁর মতে, “যে যাই বলুক, আইন আইনের পথে চলবে। দলের ওপর বাইরের দুষ্কৃতীদের কোনও মস্তানি বরদাস্ত করা হবে না। এই বিষয়ে পুলিশ নিজের মতন তদন্ত করছে। আর আমিও দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে যা বলার বলব।”