জ্বর-সর্দি সঙ্গে প্রবল শ্বাসকষ্ট, শিশুদের বেডের ব্যবস্থা করতে হিমশিম খাচ্ছে বর্ধমান মেডিক্যাল


অরূপ লাহা: জ্বর, সর্দি আর শ্বাসকষ্ট। এই তিন সমস্যা নিয়ে একের পর এক শিশু ভর্তি হচ্ছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে। সাধারণভাবে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে শিশুদের আউট ডোরে রোজ গড়ে ২০০-৩০০ শিশু আসতো। এখন সেই সংখ্যাটা একলাফে বেড়ে হয়েছে ৬০০। তাদের বেডের ব্যবস্থা করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন-পঞ্চায়েত ভোটের মুখে আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য রাখাই মমতার কাছে চ্যালেঞ্জ, বুধবার রাজ্য বাজেট পেশ

আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা, ঠাণ্ডা গরমের ওঠানামা চলছে কয়েকদিন ধরেই। আর এতেই প্রভাব পড়েছে শিশুদের উপরে। গত দু’সপ্তাহ ধরেই বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুদের জ্বর সর্দি নিয়ে আনাগোনা প্রবল গতিতে বেড়ে চলেছে। অধিকাংশেরই সমস্যা শ্বাসকষ্ট। কয়েকজনের আবার কাশি থামছেই না। অধিকাংশ শিশুরই সেরে উঠছে লাগছে ৭-১০ দিন। ফলে বেডের সমস্যা বাড়ছে।

আউটডোরে যেমন ভিড় উপছে পড়ছে, তেমনই ভর্তি হওয়া বাচ্চার সংখ্যাও বেড়েছে দ্বিগুণ। এমনিতে হাসপাতালে গড়ে যেখানে ৫০টি করে শিশু ভর্তি থাকত, এবার সেখানে ভর্তি সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। ভর্তি থাকা শিশুদের সিংহভাগই জ্বর সর্দির অর্থাৎ ঠাণ্ডা লাগার সমস্যা নিয়ে
ভর্তি। এই সংখ্যা আরও বাড়লে ভর্তি করাই খুবই সমস্যার হয়ে দাঁড়াবে বলে হাসপাতালের দাবি। মূলত বুকে সর্দি বসে গিয়ে বাড়াবাড়ি আকার নেওয়ায় শিশুদের ভর্তি করা হচ্ছে। রোগ নির্মুল করতে ব্যবহার করা হচ্ছে ইনহেলার, জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

সেখ ফিরোজ কাঁর বাচ্চাকে ভর্তি করেছেন হাসপাতালেত। তিনি বলেন, জ্বর হয়েছিল মাত্র দুদিন। তার মধ্যেই শিশুর বুকে সর্দি বসে দিয়েছে। এখন শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। হাসপাতালের চিকিত্সকরা বললেন ভর্তি করে দিতে।  আজিজুল মণ্ডল নামে অন্য এক অভিভাবক বলেন, আমার বাচ্চার জ্বর রয়েছে, সর্দি প্রবল, শ্বাসকষ্ট রয়েছে। তাই ভর্তি করতে হল। 

মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ কৌস্তভ নায়েক বলেন, আমাদের নিজস্ব ‘ভি আর ডি এল’ তে এই রোগের নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। রোগের
কারণ সঠিকভাবে জানা গেলে চিকিৎসাও সহজ হবে। পাশাপাশি, রোগ নিয়ন্ত্রণও দ্রুত হবে। শিশু ভর্তির সংখ্যা এটা শুধু বর্ধমান মেডিক্যাল বলেই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে বাচ্চা ভর্তির হার বেড়ে গিয়েছে। এর কারণ এক ধরনের শ্বাসকষ্ট। প্রথম হাঁচি কাশি, তারপরই বুকে সাঁই সাঁই আওয়াজ তারপরেই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যাচ্ছে। এরকম হলেই অভিভাবকরা হাসপাতালে ভর্তি করে দিচ্ছেন। সেরে উঠতে ৭-১০ দিন লাগছে। সাধারণ নিমোনিয়ার ওষুধেই কাজ হচ্ছে কিন্তু হাসপাতালে থাকার সময়ে বেড়ে গিয়েছে। ফলে বেড দেওয়া যাচ্ছে না। রোজ এখন একশোর বেশি ভর্তি হচ্ছে। ৬-১২ বছরের শিশুরাও আক্রান্ত হচ্ছে। অন্যবার শীতকালে বাচ্চা ভর্তি কমে যায়। এবার একেবারে উল্টো।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *