প্রাথমিক অবস্থায় খাবার ও জলের দিকে নজর না দিলেও, ধীরে ধীরে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে সে জল ও খাবার খায়। তারপর ধীরে ধীরে জঙ্গলের গভীরে মিলিয়ে যায়। গত বছরের ১৫ অক্টোবর ঝাড়গ্রাম থেকে একটি দলমার হাতিকে ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু করে বক্সার জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। পরানো হয়েছিল রেডিয়ো কলার। যদিও ওই হাতি এখন কয়েকশো কিলোমিটার পথ উজিয়ে অসম পেরিয়ে মেঘালয়ে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছেন বনকর্তারা। রেডিয়ো কলার মারফত পাঠানো সংকেতেই ওই হাতিটির অবস্থান জানা সম্ভব হয়েছে। বনকর্তাদের অনুমান, বক্সার জঙ্গলে থাকা বুনো হাতির দলগুলি তাকে গ্রহণ না করার ফলেই জঙ্গলপথ ধরে ওই হাতিটি আগুয়ান হয়েছে মেঘালয়ের দিকে। এখন আরামবাগ থেকে পাকড়াও করা হাতিটির গতিবিধি ঠিক কেমন হবে, সে দিকেই কড়া নজর রেখে চলেছেন বনকর্তারা।
কেন বেয়াড়া গোছের হাতিদের দেশান্তরি করা হয়?
বক্সা ব্যাঘ্র পশ্চিমের ক্ষেত্র অধিকর্তা প্রবীণ কাসোয়ান বলেন, ‘দেখুন, প্রথমতঃ আরামবাগের আশপাশে কোনও জঙ্গল নেই, ফলে ওই হাতিটিকে একটি আদর্শ পরিবেশে ফিরিয়ে দেওয়াটাই আমাদের মূল কর্তব্য ছিল। দ্বিতীয়তঃ, যখন কোনও বুনো হাতি একের পর এক অনিষ্ট করে চলে, তখন তাকে বাগে আনার টোটকা স্বরূপ দেশান্তরি করা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। ঝাড়গ্রামের হাতিটির ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। কারণ গবেষণায় দেখা গিয়েছে, চেনা পরিবেশ বদলে দিলে দামাল হাতিরা নিজেদের সুরক্ষার প্রশ্নে অনেকটাই শান্ত হয়ে যায়।’