পাশাপাশি তাঁরা এলাকার পাহাড়-পর্বত থেকে শিলাজিৎ, হিং, ধনিয়া সহ নানান জড়িবুটি সারাবছর সংগ্রহ করেন। শীতের মরসুমে ওই এলাকা বরফের চাদরে ঢেকে যায়। বন্ধ হয়ে যায় তাঁদের রুটিরুজি। শীতের মরশুমের ওই তিনমাস এলাকার অধিকাংশ যুবক থেকে বৃদ্ধরা প্রকৃতি থেকে সংগ্রহ করা শিলাজিৎ সহ জড়িবুটি বিক্রি করতে পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড সহ বিভিন্ন রাজ্যে পাড়ি দেন। তাঁরা নিজেদের বেশ কয়েকটি দলে ভাগ করে নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন শহর গুলিতে পায়ে হেঁটে পাহাড়ি জড়িবুটি বিক্রি করেন। বহু বছর ধরে আসা পরিযায়ী পাখির মতো তাঁরা নিজেদের ‘বাহাদুর’ বলে পরিচয় দেন সমতলে এসে।
দলে থাকা লাল বাহাদুর রাউত বলেন, আমরা বংশপরম্পরায় শীতের মরশুমে রোজগারের টানে পাহাড় থেকে বিভিন্ন সমতল এলাকায় চলে আসি। তবে কেবলমাত্র পুরুষরা এসে থাকি। এই মরশুমে ওখানে রোজগার করার কোনও উপায় থাকেনা। এবার মহিলা হিসেবে প্রথম আমাদের দলে এসেছে আমার ভাগ্নি হিরা ভট্ট। হিরার প্রায় তিন মাস আগে বিয়ে হয়েছে গ্রামের ছেলে মিনা বাহাদুর রাউতের সঙ্গে।
মিনা বাহাদুর রাউত বলেন, “আমরা প্রায় একমাস আগে দুর্গাপুর এসেছি। আমার স্ত্রী হীরা বায়না করে পাহাড় ছেড়ে সমতলে ঘুরতে এসেছে। তাই হীরাকে সমতল ঘোরাতে নিয়ে এসেছি। এখানে মাঝেমধ্যে শপিংমল ও পার্কে নিয়ে যাচ্ছি ঘুরতে। হীরা খুব খুশি তাতে। এখানকার মানুষ বিয়ের পরে হানিমুন করতে যেমন আমাদের পাহাড়ে যায় ঠিক তার বিপরীত আমরা সমতলে হানিমুনে এসেছি। হীরা ভট্ট বলেন, আমি পাহাড়-পর্বতে বড় হয়েছি। সমতল এলাকা কখনও দেখিনি। তাই বিয়ের পরেই মিনার সাথে সমতল এলাকায় ঘুরতে এসেছি। খোলা আকাশের নিচে থাকলেও আমার খুব ভালো লাগছে এখানে।