পাশাপাশি আরও একজন ডাক্তারি পড়ুয়া নীলাভ রায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সোমবার তাঁকে রেফার করে কলকাতায় (Kolkata) চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হলে রাস্তাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই দুর্ঘটনায় জুনিয়র চিকিৎসক স্বপনীল বোরা বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনায় দুর্ঘটনাগ্রস্থ গাড়িটি বি-জোন ফাঁড়ির পুলিস আটক করে নিয়ে যায়৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর (Durgapur) ২ নম্বর ওয়ার্ডের শোভাপুর এলাকায় ওই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল রয়েছে। রবিবার রাত সাড়ে ১২ টা নাগাদ ওই হাসপাতাল চত্বর থেকে বাহির গেট মুখী রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনাগ্রস্থ গাড়িটি জুনিয়র চিকিৎসক স্বপনীল বোরার ছিল। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন অনঘ মান্না। গাড়িটি দ্রুত গতিতে থাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি রাস্তার পাশে থাকা একটি লাইটপোস্টে ধাক্কা মেরে সেটি ভেঙে একটি বড় গাছে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার জেরে গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তিনজনই জখম হন। তাঁর মধ্যে অনঘ মান্নার মৃত্যু হয় সেই মুহূর্তেই। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় এদিন নীলাভ রায়ের মৃত্যু হয়।
এই বিষয়ে ওই মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ গৌতম ঘোষ বলেন, “মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় দু’জন পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। আরও একজন চিকিৎসাধীন। ওই তিনজনই কলেজের হস্টেলে থাকতেন না। হস্টেলে থাকলে রাতে আমাদের রুটিনের মধ্যে থাকতেন। তাতে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটত না। পড়ুয়াদের হস্টেলে রাখার জন্য অভিভাবকদের কাছে আর্জি জানানো হয়। যদিও অধিকাংশ অভিভাবক হস্টেলেই ছেলে মেয়েদের রাখেন।” পুলিশের অনুমান, গাড়িটি বেপরোয়া গতিতে চলছিল। তাই নিয়ন্ত্রণ হারানোর পরে গাড়ির ধাক্কায় বিদ্যুতের একটি খুঁটি ও তিনটি গাছে ভেঙে যায়। গাড়ির সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে তুবড়ে যায়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দৌড়ে আসেন হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা। আসে পুলিশও। তিন জনকে ওই বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা অনঘকে মৃত বলে জানান।