সিনেমা প্রদর্শনের জন্যে বিদেশ থেকে যন্ত্রপাতিও আনা হয়েছিল এক সময়ে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে না পারায় একটা সময়ের পর হলটি লোকসানে চলতে শুরু করে। বিপুল আর্থিক লোকসানের কারণে শেষ পর্যন্ত বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন কর্তৃপক্ষ। প্রায় ৩৬ কোটি টাকায় এলিটা সিনেমা হল কিনে নেয় নামকরা জুতো প্রস্তুতকারক সংস্থা। ধর্মতলা চত্বরেই তাদের জুতোর বিশাল শোরুম রয়েছে। এলিট সিনেমা হল সংস্কার করে আরও একটি শোরুম খুলতে চাইছে তারা। সেই মতো পুরসভার বিল্ডিং বিভাগে তারা নকশা জমা দিয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, এলিট সিনেমা হলে মোট তিনটি তলা। উচ্চতা ১৭.৪ মিটার। ফ্লোর এরিয়া ২৮৩০ বর্গমিটার। পুরনো যে সিনেমা হল ছিল, সেটাকেই কিছুটা অবদলবদল করে জুতোর শোরুম তৈরি হবে।
পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের এক আধিকারিক জানান, কলকাতা শহরে যে কোনও বড় নির্মাণের ক্ষেত্রে মিউনিসিপ্যাল বিল্ডিং কমিটি থেকে নকশা পাশ করাতে হয়। সেখানে কলকাতা পুরসভার ইঞ্জনিয়াররা ছাড়াও কলকাতা পুলিশ, দমকল এবং পরিবেশ দপ্তরের আধিকারিকরা থাকেন। এলিট সিনেমা হলের একদম গা ঘেঁষে গিয়েছে এসএন ব্যানার্জি রোড। এটি শহরের অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা। ধর্মতলায় যত মিছিল হয়, এই রাস্তা দিয়েই যায়। পাশে কোনও বড় জুতোর শোরুম খুললে যানবাহনের গতি থমকে যাবে। তার জন্যে বিকল্প রাস্তা বের করতে বলেছে পুলিশ। সেই মতো নতুন করে নকশা জমা দেবে জুতো প্রস্তুতকারক সংস্থা। সব দিক খতিয়ে দেখে পুরসভা চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে।