প্রসূতির পরিবারের অভিযোগ, যন্ত্রণার কথা বললেও সিজার করা হয়নি হাসপাতালের তরফ থেকে। পরেরদিন সকাল এগারোটা থেকে সারাদিন প্রসব কক্ষে ফেলে রাখা হয় চন্দনাকে। পরিবারের কাউকে দেখাও করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি প্রসূতি না থাকতে পেরে নিজেই সিজার করে দিতে বলেন। কিন্তু নর্মাল ডেলিভারির জন্য অপেক্ষা করানো হয় বলে অভিযোগ করেছে ওই পরিবার।
পরে রাত এগারোটা নাগাদ ফরসেপ পদ্ধতিতে প্রসবে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন প্রসূতি। প্রসবের সময় শিশু ও মা দুজনেরই অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। মা ও শিশু গত ১৯ দিন ধরে হাসপাতালেই ভর্তি থাকেন। মা ধীরে ধীরে সুস্থ হলেও সন্তানের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হতে থাকে বলে অভিযোগ করা হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে শিশুটির মৃত্যু হয়। এর পরই গাফিলতির অভিযোগ তুলে প্রসূতির পরিবার উত্তেজিত হয়ে ওঠে। হাসপাতাল কর্মীদের উপর চড়াও হয়ে চিকিৎসককে তাদের হাতে তুলে দিতে বলে ওই পরিবারের লোকজন। হাসপাতাল সুপারের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। খবর পেয়ে চন্দননগর থানার (Chandannagar Police Station) পুলিশ হাসপাতালে হাজির হয়। পরিস্থিতি সামাল দেন তাঁরা।
এই প্রসঙ্গে মৃত শিশুর বাবা সরোজ যাদব বলেন, “আমার স্ত্রী যন্ত্রণায় ছটফট করলেও চিকিৎসক কান দেননি। সিজার করে দিলে আজ ছেলেটা বেঁচে থাকত। ওই চিকিৎসকের শাস্তি চাই। ঘটনার পরেই হাসপাতালে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। এবার আমরা পুলিশে অভিযোগ জানাবো।” সরোজ আরও বলেন, “শুধু এই ঘটনাই নয়, আরও অনেক কিছু নিয়েই আমাদের অভিযোগ রয়েছে। আমার স্ত্রী ও ছেলে ১৯ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিল। কিন্তু কোনও চিকিৎসা বা যত্ন নেওয়া হয়নি। আমার স্ত্রী অসুস্থ থাকলেও আমাকে বা আমার পরিবারকে ঠিক মতন তার সঙ্গে দেখাও করতে দেওয়া হয়নি।” চন্দননগর হাসপাতাল সূত্রে খবর, ঘটনার তদন্ত হবে। গাফিলতি প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।