অধিকাংশ যাত্রীদের দাবি, ফারাক বুঝতে সরকারি ও বেসরকারি বাসগুলির মধ্যে আলাদা রং থাকার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যদিও এই বিষয়ে রং নকল করার দাবি উ়ড়িয়ে দিয়েছেন মালদাবাস মিনিবাস অনার্স অ্যাসোসিয়েশন প্রাপ্তন সহ-সভাপতি নিমাই বিশ্বাস। তিনি বলেন, “সরকারি বাসে ব্যবহার রঙের কোনও রেজিস্ট্রেশন নেই। বাজার থেকে যে কেউ এই রং কিনে ব্যবহার করতে পারে। সেই কারণে যেমন পারছে বাজার থেকে কিনে বাস রং করছে। আমরা রং নকল করছি, এমন কোনও ব্যাপার নেই। যাত্রীরা সবকিছু দেখেই তো বাসে উঠেন। রং নিয়ে আমাদের কোনও নির্দেশিকাও দেওয়া হয়নি।” এ বিষয়ে জেলা শাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, “সরকারি বাসের আদলে বেসরকারি বাস রং করার বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এই নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত করে দেখা হবে। কেউ আইন না মানলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অন্যদিকে এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। গোটা ঘটনায় তৃণমূলকে দোষারোপ করেছে বিজেপি। দক্ষিণ মালদা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি এই প্রসঙ্গে বলেন, “তৃণমূলের পরিবহণ সিস্টেমটা চোরের রাজত্ব হয়েছে। RTO অফিসে টাকা ছাড়া কোনও কাজ হয় না। আজকে বেসরকারি বাসের মালিকরা সরকারি গাড়ির রং নকল করছে তাঁর একটাই কারণ সরকারি বাসের রং না করলে যে কোনও অবরোধে তৃণমূলের লোক গাড়ি ভাঙচুর করবে।”
অন্যদিকে গোটা ঘটনায় বেসরকারি বাস মালিকেদের দুষেছেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। তিনি বলেন, “মানুষকে বিভ্রান্তি করা হচ্ছে। সরকারি বাসের রং কখনোই বেসরকারি বাসে করা যায়না। কেন এটা করা হল সেই বিষয়ে RTO দফতরর তদন্ত করুক। অবিলম্বে বাসগুলির রং বদল করে দেওয়া হোক।”