সোমবার রাজ্য বিধানসভাতেও রাজ্যপালের প্রধান সচিবের পদ থেকে নন্দিনী চক্রবর্তীকে সরানোর প্রসঙ্গ ওঠে। গত বেশ কিছুদিন ধরে রাজ্যপালের বিভিন্ন বক্তব্য নিয়ে বঙ্গ বিজেপি অস্বস্তিতে ছিল। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একাধিকবার বলেছেন, রাজ্যপালকে ভুল বোঝাচ্ছেন তাঁর প্রধান সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী। তবে শনিবার রাজ্যপালের সঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সাক্ষাৎ এবং তারপরে রাজভবনের প্রেস বিবৃতির প্রেক্ষিতে শুভেন্দুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য ছিল, ‘আমার বিশ্বাস, উনি ট্র্যাকে আসতে শুরু করেছেন।’ এদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না-করে বিরোধী দলনেতাকে নিশানা করতে গিয়ে বলেন, ‘বলছে, রাজ্যপালকে নাকি গ্রিপে (নিয়ন্ত্রণে আনা) এনেছে!’
পরে বিধানসভায় নিজের ঘরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, নন্দিনী এ দিনও রাজভবনে অফিস করেছেন। বিষয়টির নিষ্পত্তি হতে, অর্থাৎ নতুন আধিকারিককে দায়িত্ব দিতে আরও দু’-একদিন সময় লাগবে বলে তিনি ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দেন। শুভেন্দু এদিন বিধানসভার লবিতে বলেন, ‘সরকারি নির্দেশিকা না দেখে নন্দিনী চক্রবর্তীর প্রসঙ্গে কিছু বলব না।’ আর বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘এটা রাজ্যপালের বিষয়। তিনি গুণী মানুষ। নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আমার সঙ্গে তাঁর বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়নি।’ তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনের পর্যবেক্ষণ, ‘পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান রাজ্যপালকে এখনও নিজেদের মুখপাত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারেনি ওরা। এ জন্য যথেষ্ট গাত্রদাহ আছে৷ তাই রাজ্যপালের উপরে রাজনৈতিক চাপও আছে, এটা আমরা উপলব্ধি করছি৷ বাকি কোন পথে জল গড়ায়, সেটা সময়ই বলবে৷’
এদিন বিকেলে দিল্লিতে উপরাষ্ট্রপতির বাসভবনে রাজ্যের প্রাক্তন ও বর্তমান, দুই রাজ্যপালের মধ্যে প্রায় ৫০ মিনিট বৈঠক হয়৷ তবে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে কেউ মন্তব্য করেননি। নবান্ন সূত্রের খবর, দিল্লি থেকে মঙ্গলবার ফেরার কথা রাজ্যপালের। তিনি ফিরলেই মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী প্রশাসনিক কর্মীবর্গ সচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকাকে নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে পারেন।