পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনা চলে আসে পাণ্ডবেশ্বর থানার পুলিশ (Pandaveswar Police Station)। বিক্ষোভকারীদের দাবি, খনির কারণে এলাকায় বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়াও, এলাকায় জলের স্তর নেমে যাওয়ায় গ্রীষ্মের আগে থেকেই জল কষ্ট দেখা দিয়েছে। এরকম চলতে থাকলে মার্চ মাস থেকে জলই পাওয়া যাবে না বলে অভিযোগ তাঁদের। সেই সঙ্গে স্থানীয় বাউরী সমাজের লোকেরা দাবি করেন, এলাকার বেকার যুবকদের খনিতে চাকরি দিতে হবে। পাশাপাশি এলাকায় জলের সমস্যার সমাধান করতে হবে খনি কর্তৃপক্ষকে।
এই বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, “আমাদের পাণ্ডবেশ্বর এলাকা পুরোটাই কয়লাখনি অঞ্চল। এই এলাকায় প্রচুর কয়লা খনি রয়েছে।
ECL কর্তৃপক্ষ গোটা আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে থেকে পাণ্ডবেশ্বর থেকেই সব থেকে বেশি কয়লা উত্তোলন করে, কিন্তু আমাদের স্থানীয় আদিবাসী বাসিন্দাদের নিয়ে তাঁদের কোনও মাথাব্যাথা নেই। ECL-এ বাইরের প্রচুর লোক এসে চাকরি করলেও, আমাদের বাউরী সমাজের ছেলেদের কোনও স্থান নেই। অবিলম্বে আমাদের এলাকার কিছু ছেলেকে চাকরি দিতে হবে। এই নিয়েই আমাদের আজকের আন্দোলন”। ওই ব্যক্তি আরও বলেন, “খনিগুলি থেকে লাগাতার কয়লা উত্তোলনের ফলে জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে। গরমে তীব্র হয়ে ওঠে জলের কষ্ট। ECL কর্তৃপক্ষ এই সমস্যার সমাধান করুন, নাহলে আমাদের গরমে তেষ্টায় মরে যেতে হবে”।
এদিন বিক্ষোভের খবর পেয়েই ওই খনি অঞ্চলে চলে আসেন পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী (Pandaveswar MLA)। তিনি এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন, তাঁদের সমস্যার কথা শোনেন। অবশেষে পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়কের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা। তিনি বলেন, “এই অসহায় মানুষগুলির বিক্ষোভ সঙ্গত। এই বিষয়ে আমি ECL কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব”। যদিও এই বিক্ষোভ নিয়ে ECL কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কোনোওরকম মন্তব্য পাওয়া যায়নি।