SSC Scam Case : রায়দানের আগেই ৬১৮ শিক্ষকের সুপারিশ প্রত্যাহার – ssc scam case recommendation of 618 teachers withdrawn before the verdict of calcutta high court


এই সময়: নবম-দশমে কর্মরত ৯৫২ জন শিক্ষকের কর্মচ্যুতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের পর ডিভিশন বেঞ্চে আপিল মামলা চলাকালীনই এসএসসি (SSC) নিজস্ব বিধি অনুযায়ী প্রথম দফায় ৬১৮ জনের নিয়োগের সুপারিশপত্র প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করল। কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের সোমবারের বিজ্ঞপ্তিতে সিঙ্গল বেঞ্চের ৮ ফেব্রুয়ারির নির্দেশেরই উল্লেখ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে দাবি, এই প্রার্থীদের নিয়োগে ভুল সুপারিশ করা হয়েছিল। তাই কমিশনের ২০১৬ সালের বিধির ১৭ নম্বর ধারা মেনে সুপারিশ প্রত্যাহার করা হচ্ছে। মোট ৯৫২ জনকে শিক্ষককে নিয়ে যে মামলা হয়েছিল, তার প্রেক্ষিতে বাকিদের বিষয়েও একই রকম বিজ্ঞপ্তি পরবর্তী দফায় জারি হবে বলে কমিশনের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন।

SSC Scam: 800 শিক্ষকের চাকরি যাচ্ছে? দুর্নীতি ‘স্বীকার’ করে কী জানাল কমিশন
তবে কর্মচ্যুতি নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে ইতিমধ্যে আপিল করেছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা। সোমবারই বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এ নিয়ে শুনানি শেষ হয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ, ৯৫২টি বিকৃত ওএমআর শিট যদি মামলাকারী শিক্ষকদেরই হয়ে থাকে, তা হলে মামলার কোনও পর্যায়েই তাঁদের বক্তব্যের গ্রহণযোগ্যতা থাকতে পারে না। আদালতে স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং এসএসসি’র আইনজীবীদের বক্তব্যে মতপার্থক্যও লক্ষ করা যায়। আদালত এ দিন রায়দান স্থগিত রাখে। আদালতের প্রশ্ন, যদি ওএমআর শিট থেকে দেখা যায় কেউ ৩ বা ৪ নম্বর পেয়েছেন, তা হলে তাঁরা চাকরি পেলেন কী করে? এর আগে সিঙ্গল বেঞ্চে মামলাকারী বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের তরফে আইড়জীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের সওয়াল, ‘সেটাই প্রশ্ন। কেউ এগিয়ে এসে হলফনামা দাখিল করে বলেননি যে এই ওএমআর শিটগুলো তাঁদের নয়।’ বিচারপতি তালুকদারের প্রশ্ন, কমিশনের ভুলের জন্য কি চাকরি-প্রাপকদের দায়ী করা যায়? বিকাশের জবাব, ‘হ্যাঁ। এটা সংগঠিত অপরাধ। সবাই এর সঙ্গে যুক্ত।’

SSC Scam In West Bengal : দুটো নির্দিষ্ট উত্তর, বাকি খাতা ফাঁকা!
সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলায় গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হওয়া ৯৫২টি ওএমআর শিটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তোলেন চাকরি-হারানোর মুখে দাঁড়ানো শিক্ষকদের একাংশ। তাঁদের আইনজীবীদের দাবি, যে ৯৫২টি ওএমআর নিয়ে কথা হচ্ছে, সেগুলি আসল নয়। মিরর কপি মাত্র। এই প্রতিচ্ছবিকে প্রাথমিক প্রামাণ্য নথি হিসেবে ব্যবহার করা যায় কি? এই নথিকে হাতিয়ার করেই সিবিআই এবং কমিশন পিংপং বলের মতো খেলছে শিক্ষকদের নিয়ে। এই ওএমআরগুলি ইন্টারনেট থেকে নেওয়া হয়েছে কিনা, কেউ জানে কি? ওই আইনজীবীদের বক্তব্য, কমিশনই বলছে, আসল ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছে। তা হলে বুঝতে হবে, সিবিআই যে ওএমআর শিট উদ্ধার করেছে, তা ‘মিরর ইমেজ’। মূল নথিই নয়। তার পরেও সেই নথির ভিত্তিতে সব কিছু করা হচ্ছে কী ভাবে?



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *