Suvendu Adhikari : ‘… সাগরদিঘির মাটিতে এমন লোকের স্থান নেই’, শাসকদলকে নিশানা শুভেন্দুর – suvendu adhikari told old tmc story in bjp meeting at sagardighi


West Bengal News : তৃণমূল কংগ্রেসে (Trinamool Congress) থাকাকালীন একটা সময় মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) দলের পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সময়ের ফেরে তিনি এখন BJP নেতা তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেই সূত্রেই সাগরদিঘিতে (Sagardighi By Election) গিয়েছেন আসন্ন উপনির্বাচনের দলীয় প্রচারে। কিন্তু সেখানে গিয়ে ভাষণে এমন কিছু কথা বললেন, যা ঘিরে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে।

Suvendu Adhikari: ‘বাইরে তৃণমূল, ভিতরে বলবে BJP-র সঙ্গে আছি!’ সুমনের মতি বদল নিয়ে সরব শুভেন্দু
মঙ্গলবার সাগরদিঘি বিধানসভা উপনির্বাচনে (Sagardighi By Election) BJP প্রার্থী দিলীপ সাহার সমর্থনে মুনিগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে BJP-র নির্বাচনী কর্মীসভা ছিল। কিন্তু সেখানে দলীয় প্রার্থীর প্রচারের থেকেও শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বেশি সময় ব্যয় করলেন মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) তৃণমূলের পর্যবেক্ষক থাকাকালীন সময়ের কথা নিয়ে। তবে কি সাগরদিঘিতে উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে তৃণমূলের (Trinamool Congress) পর্যবেক্ষক থাকার কথা বেশি করে মনে পড়ছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতার? এমনই প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে।

Suvendu Adhikari : ‘দম থাকলে প্রকাশ্যে সভা করে বলুন তৃণমূলে যোগ দিলাম’, তোপ শুভেন্দুর
এদিন সভায় শুভেন্দু দাবি করে বলেন, “২০১৬ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে ওই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত সাহাকে হারাতে চেয়েছিলেন দলেরই নেতা তথা এবারের তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে সুব্রতর দাবি মেনে দেবাশিসকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সময়ে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দেবাশিসকে তৃণমূল থেকে ৬ বছরের জন্য বহিষ্কার করার কথা আমিই জনসভায় ঘোষণা করেছিলাম।” সেই সময় তিনি তৃণমূলের হয়ে কতটা খেটেছিলেন, সাগরদিঘির সভায় সেই সব কথাও তুলে ধরেছেন শুভেন্দু। এদিন সভার শুরুতেই তৃণমূলের অতীতের সব গল্প কথা বলতে শুরু করেন শুভেন্দু অধিকারী।

তিনি বলেন, “অতীত কখনও ভুল হতে পারে না। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন। মাননীয়া আমায় বলেন, রাজ্যে চলে আসতে হবে। আমি তখন তৃণমূল সাংসদ। দিল্লীতেই বেশিরভাগ সময় থাকি। ডেকে নিলেন, কারণ দিল্লীতে আমার পরিচিতি বাড়ছিল। উনি তো নিজের ছাড়া অন্য কারোর পরিচিতি পছন্দ করেন না। এখন অবশ্য ভাইপোকে সব থেকে বেশি পছন্দ করেন।” এরপরেই শুভেন্দু ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে প্রয়াত সুব্রত সাহা, এবারের তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর নিজেকে নিয়ে কী কী ঘটনা ঘটেছিল, তার ফিরিস্তি শোনান। তারপরই অবশ্য ফিরে আসেন BJP নেতার আবহে। এবার শুভেন্দু নির্বাচনী প্রচারের ঢঙে বলেন, “সাগরদিঘির মানুষকে বলব, এই দেবাশিস একদিন সুব্রতকে হারাতে চেয়েছিলেন। ওঁকে হারিয়ে প্রমাণ করে দিতে হবে যে, সাগরদিঘির মাটিতে এমন লোকের স্থান নেই।”

Suvendu Adhikari : ত্রিপুরাতে শুভেন্দুর তোপে বাম-কংগ্রেস
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রাক্তন মন্ত্রী প্রয়াত সুব্রতকে নিয়ে সাগরদিঘির মানুষের মধ্যে আবেগ রয়েছে, একথা একবাক্যে স্বীকার করেন রাজ্যের আপামর বিরোধী দলের নেতা নেত্রীরাও। আর সেই ‘আবেগ’ নিয়েই আসন্ন উপনির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ বিবাদকে খুঁচিয়ে দিলেন, এমনটাই মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল। তাহলে কি প্রয়াত বিধায়ক সুব্রত ও বর্তমান বিধায়ক প্রার্থী দেবাশিসের ‘আদা কাঁচকলা’ সম্পর্ককে টেনে নির্বাচনে ফায়দা তুলতে পারবে BJP? যদিও এই প্রশ্নকে এক বাক্যে উড়িয়ে দিচ্ছে রাজ্যের শাসকদল। কিন্তু চাইলেও যা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না, তা হল শুভেন্দুর হঠাৎ করে স্মৃতিকাতর হওয়া। যাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই জোর চর্চা রাজনৈতিক মহলে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *