Baruipur Nursing Home : শিশুর মেল-ফিমেল গরমিলে কোলছাড়া সদ্যোজাত – baruipur nursing home authority allegedly neglect documentation of new born baby


এই সময়: নার্সিংহোমের কর্তব্যে গাফিলতি আর তার জেরে নথিতে গোলমাল। এর সঙ্গে যোগ হয় সরকারি হাসপাতালের কঠোর নিয়মকানুন। এ সবেরই ফাঁসে একরত্তি নবজাতক ও তার পরিবার। ফলে মায়ের কোল থেকে আপাতত দূরেই থাকতে হচ্ছে সদ্যোজাতকে। তার ঠাঁই এখন চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির (সিডব্লিউসি-র) হেফাজত। বারুইপুরের ওই নার্সিংহোমের ভুলেরই চরম খেসারত দিচ্ছে একরত্তি আর হালদার দম্পতি। বৃহস্পতিবার সকালে ওই নার্সিংহোমে শিশুপুত্রের জন্ম দেন রুমা হালদার। নবজাতকের শ্বাসকষ্টের জন্য গভীর রাতে (ক্যালেন্ডারে ততক্ষণে শুক্রবার) তাকে এনআরএসে রেফার করা হয়। নার্সিংহোমের এক কর্মী ও এক আত্মীয় সদ্যোজাতকে নিয়ে আসেন এনআরএসে।

Hooghly News : চিকিৎসার গাফিলতিতে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ, উত্তেজনা চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে
রাত দুটো নাগাদ তাকে ভর্তি করতে গিয়ে দেখা যায়, রেফারের নথিতে লেখা রয়েছে শিশুকন্যা। গোলমালের সূত্রপাত সেখানেই। এনআরএস কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ভর্তির সময়ে যথাযথ পরিচয়পত্রও দেখাতে পারেননি সঙ্গে থাকা ওই দু’জন। ফলে ‘আননোন বেবি’ হিসেবেই সদ্যোজাতকে ভর্তি করা হয় সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটে (এসএনসিইউ)। তার মা তখনও ভর্তি বারুইপুরের নার্সিংহোমে। পরের দিন সকালে নবজাতকের বাবা যথাযথ নথি জমা করেন হাসপাতালে। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, সদ্যোজাত সুস্থ হয়ে ওঠার পর সোমবার তাকে সিডব্লিউসি-র হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরিবারের প্রশ্ন, নথি জমা দেওয়ার পরেও কেন এমনটা করা হলো?

Valentine Day : গড়িয়াহাটের ঝুপড়িতেই ভালোবাসার আলো-বাতাস, নৃত্যশিল্পীর সাহায্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে একরত্তি ‘ভ্যালেন্টাইন’
এনআরএসের উপাধ্যক্ষ তথা সুপার ইন্দিরা দে-র অবশ্য ব্যাখ্যা, ‘বাচ্চাটির ভর্তির সময়েই একটা বিতর্কের জন্ম হয়েছিল। পরবর্তীকালে একজন তার বাবা পরিচয় দিয়ে নথি জমা করেছেন ঠিকই। কিন্তু সেটা যাচাই করে দেখা আমাদের কাজ নয়। সে কাজ সিডব্লিউসি-র। তাই সরকারি নিয়ম মেনে আমরা সিডব্লিউসি-র হাতেই তুলে দিয়েছি নবজাতককে। ওঁরা সব দিক খতিয়ে দেখে, যথাযথ ভাবে যাচাই করে ঠিক করবেন, সদ্যোজাতকে হালদার দম্পতির হাতে তুলে দেবেন কি না।’

Durgapur News : চিকিৎসার গাফিলতিতে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ, মতুয়া মহাসঙ্ঘের বিক্ষোভে ধুন্ধুমার কাণ্ড দুর্গাপুরে
এ দিকে বারুইপুরের ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ স্বীকার করে নিয়েছেন, তাঁদের ভুলের কথা। সেই ভুল স্বীকারের চিঠি পেয়েছেন এনআরএস কর্তৃপক্ষও। নার্সিংহোমের ম্যানেজার (অ্যাডমিন) সুদীপ্ত বিশ্বাসের বক্তব্য, ‘আমাদের সত্যিই একটা ভুল হয়েছিল। নবজাতকের লিঙ্গের জায়গায় মেলের বদলে ফিমেল লেখা হয়ে গিয়েছিল রেফার নোটে। সেটা আমরা পরে ঠিক করে দিয়েছি।’ কিন্তু সেই ভুলের চরম মাশুল এখন দিতে হচ্ছে হালদার পরিবারকে। যদিও তাঁরা ইতিমধ্যেই সিডব্লিউসি-র সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। সিডব্লিউসি-র কলকাতা শাখার চেয়ারপার্সন মহুয়া শূর রায়চৌধুরী বলেন, ‘সদ্যোজাতের বাড়ি যাচাই করা হবে। দেখা হবে তার মায়ের প্রসূতি কার্ড বা নার্সিংহোমে ভর্তির নথি-সহ সমস্ত তথ‌্য ঠিক আছে কি না। সব মিলে গেলে অবশ‌্যই বাচ্চাকে ফেরত দেওয়া হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *