CV Ananda Bose : ইস্তফা না অপেক্ষা, ধন্দে ভিসি-রা – cv ananda bose cleared about his position vice chancellors are still in confusion


এই সময়: রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগে আচার্য-রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করে দেওয়ায় পরে সংশ্লিষ্ট উপাচার্যরা এখন দ্বিধাবিভক্ত। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) সঙ্গে শনিবার ঘণ্টাদুয়েকের বৈঠক শেষে রাজভবন বিবৃতিতে জানায়, সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) ইতিমধ্যে নির্দেশ দিয়েছে, যে সব রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইউজিসি-র বিধি মেনে নিযুক্ত হননি, তাঁরা আর উপাচার্য পদে থাকতে পারবেন না। এ ক্ষেত্রে আইন মেনে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবেন রাজ্যপাল।

এই বিবৃতির প্রেক্ষিতে উচ্চশিক্ষা মহলের অনেকের বক্তব্য, সরকারি সিংহভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর কার্যকালের বৈধতা আর থাকবে না। এই পরিস্থিতিতে অধিকাংশ উপাচার্যর মত, কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে তাঁদের নিয়োগ সংক্রান্ত যে মামলা চলছে, তার রায় বেরনো পর্যন্ত অপেক্ষা করা হোক।

C V Ananda Bose : রাজ্যপালই আচার্য, আইন মেনে নিয়োগ উপাচার্যদের
আবার একদল উপাচার্যর মধ্যে কেউ কেউ চাইছেন, আর অপেক্ষা না করে ইস্তফা দেওয়াই বাঞ্ছনীয়। তাতে শেষবেলায় অন্তত মানরক্ষা হবে। তবে ইস্তফার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন প্রবীণদের মধ্যে কেউ কেউ। তাঁদের পাল্টা দাবি, এমনটা যে হবে, তা আগেই জানা ছিল। এমতাবস্থায় প্রশাসনের সম্মতি ছাড়া আগ বাড়িয়ে ইস্তফা দিলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই অপেক্ষা করাই শ্রেয়।

রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের তরফে একাধিক আইনজীবীর বক্তব্য, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে ৩০ জানুয়ারি বিবাদী পক্ষের জবাব দেওয়া শেষ হয়েছে। আবেদনকারীদের তরফে পাল্টা ৬ ফেব্রুয়ারি বলার সময় চাওয়া হয়েছিল। এখন মামলার চূড়ান্ত রায়দানের অপেক্ষা।

West Bengal Governor : সুকান্ত সাক্ষাতের পরই কড়া বার্তা রাজ্যপালের
যে সব উপাচার্যর কার্যকালের মেয়াদ শেষের মুখে, তাঁদের কেউ কেউ চাইছেন, সম্মান রক্ষার্থে রাজভবনের বিবৃতির পর ইস্তফা দেওয়াই মঙ্গল। না হলে দু’দিন পর স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির জেরে যে ভাবে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের চাকরি যাচ্ছে, তাঁদেরও সেই অবস্থা হবে।

বিদায় আসন্ন, কলকাতার এমন এক উপাচার্যর কথায়, ‘রাজভবনের বিবৃতির পর উপাচার্য পদে থাকাটাই অসম্মানজনক। আদালতে রায়ে পদ চলে যাওয়ার আগেভাগে নিজেদের সরে যাওয়া অনেক ভালো।’ যদিও তাঁর এই প্রস্তাব খারিজ করে অন্য এক উপাচার্যর বক্তব্য, ‘এতে সর্বোচ্চ প্রশাসনের বিরাগভাজন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই মতামত নেওয়াটা খুব জরুরি।’ এক মহিলা উপাচার্যর কথায়, ‘২০ ফেব্রুয়ারি আদালতের রায় বেরতে পারে। এত দিন যখন অপেক্ষাই করলাম, আর তো ক’টা দিন” শহরতলির এক উপাচার্যরও বক্তব্য, ‘হাইকোর্টের রায় বিরুদ্ধে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবু অপেক্ষা করাই ভালো।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *