Taruner Swapna : ট্যাবের টাকা হাতানোই উদ্দেশ্য, মোবাইলের দোকানের নামে ভুয়ো বিলের বহর বাড়ছে সোদপুর-আগরপাড়া-খড়দায়! – taruner swapna scheme fake bill cases name of mobile shops are increasing


এই সময়, খড়দহ: মোবাইলের দোকানের নামে ভুয়ো বিল ছাপিয়ে, সেই বিল স্কুলে জমা দিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে ট্যাব কেনার জন্য সরকারি প্রকল্পের দশ হাজার টাকা! এমনই ভূরি ভূরি অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে সোদপুর, আগরপাড়া, খড়দহের মতো ব্যারাকপুর মহকুমার বিভিন্ন এলাকায়। মোবাইলের দোকানদাররা অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। করোনার সময় স্কুল-কলেজে অফলাইন ক্লাস বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পড়াশোনায় যাতে ঘাটতি না হয়, তাই অনলাইনে ক্লাস করার জন্য ২০২০ সালের শেষে প্রত্যেক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর জন্য ট্যাব দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Swasthya Sathi Card : স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও রোগী প্রত্যাখ্যান, ৫৩ হাসপাতালকে ১০ কোটির বেশি জরিমানা
পরবর্তীতে এই প্রকল্পের নামকরণ করা হয় ‘তরুণের স্বপ্ন‘। এই প্রকল্পে ট্যাব কেনার জন্য পড়ুয়া পিছু দশ হাজার টাকা বরাদ্দ করে রাজ্য সরকার। এক্ষেত্রে নিয়ম রয়েছে, যে দোকান থেকে ট্যাব কেনা হচ্ছে, সেই দোকানের পাকা বিল স্কুলে জমা দিলে সরাসরি পড়ুয়ার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। অভিযোগ, ট্যাব না কিনে টাকা নিতে এখন অভিভাবকদের একাংশ দুর্নীতির আশ্রয় নিচ্ছেন। কী রকম সেই দুর্নীতি? অভিযোগ সোদপুর, আগরপাড়া, খড়দহের কিছু সাইবার ক্যাফেতে পাঁচশো টাকা দিলেই মিলছে ভুয়ো বিল।

Cyber Crime: ‘KBC’-র নাম করে ৮৫ লাখ টাকার প্রতারণা! যুবকের টাকা উদ্ধারে সফল তমলুক সাইবার ক্রাইম থানা
একেবারে নির্দিষ্ট মোবাইল দোকানের নাম, ফোন নম্বর, ঠিকানা, স্ট্যাম্প এমনকী জিএসটি নম্বর-সহ বিল চলে যাচ্ছে এক শ্রেণির পড়ুয়া কিংবা অভিভাবকের হাতে। যে দোকান থেকে ট্যাব কেনা হয়েছে বলে বিল বানিয়ে স্কুলে জমা দেওয়া হচ্ছে, সেই দোকানের মালিক কিছুই জানতে পারছেন না। সেই ভুয়ো বিল এরপর স্কুলে জমা করতেই অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাচ্ছে দশ হাজার টাকা। মোবাইল দোকানের মালিকরা বলছেন, পুরোনো কোনও বিল কোনও ক্রেতার থেকে নিয়ে সেটিকে স্ক্যান করে শুধু ক্রেতার নাম আর তারিখ বদলিয়ে ভুয়ো বিল তৈরি করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে বিলে জিএসটি নম্বর থাকায় আগামী দিনে মোবাইলের দোকানদাররা সমস্যায় পড়বেন বলে আশঙ্কা করছেন।

Primary TET Scam : ভুয়ো সাইটে পর্ষদের নামে রেজাল্ট-জালিয়াতি
তাই এ হেন দুর্নীতি রুখতে সোমবার রাতে বেশ কিছু মোবাইলের দোকানের মালিক খড়দহ থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে। খড়দহ বলরাম হাসপাতালের কাছে মোবাইলের দোকান রয়েছে হেমন্ত চট্টোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, ‘এক অভিভাবক এসে আমার দোকানের নামে মোবাইল কেনার ভুয়ো বিল চান। আমি রাজি না হওয়ায় উনি বলেন অন্য লোককে আমি নাকি ভুয়ো বিল দিয়েছি। প্রথমে আমি চমকে যাই। পরে দেখি ওই বিলে দেড় বছর আগে আমার দোকানে যে কাজ করত তার সই রয়েছে।

Pradhan Mantri Awas Yojana : আবাসে দেরি রাজ্যের অনুমোদনেই, পালটা হুঁশিয়ারি দিল কেন্দ্র
আসলে পুরোনো বিল সাইবার ক্যাফেতে নিয়ে গিয়ে ভুয়ো বিল বানিয়ে নেওয়া হয়েছে।’ আগরপাড়ার মোবাইল ব্যবসায়ী কেশব চক্রবর্তী বলেন, ‘মাস দুয়েক আগে আমার দোকানেও একই ঘটনা ঘটেছিল। আমিও থানায় অভিযোগ করেছিলাম। ভুয়ো বিলে আমাদের জিএসটি নম্বর ব্যবহার করা হচ্ছে। সেটাই ভয়ের।’ অল ইন্ডিয়া মোবাইল রিটেল অ্যাসোসিয়েশনের এক কর্তা রমেন্দ্রনাথ মালাকার বলেন, ‘রাজ্য সরকার ভালো কাজের জন্যই পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার টাকা দিচ্ছে। অথচ ভুয়ো বিল দিয়ে সেই টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আমরা দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে থানায় স্মারকলিপি জমা দিয়েছি।’ ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এক পুলিশ কর্তার কথায়, ‘অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *